পুরবের তরুণ অরুণ পুরবে আসলে ফিরে।

পুরবের তরুণ অরুণ পুরবে আসলে ফিরে।
কাঁদায়ে মহাশ্বেতায় হিমানীর শৈল-শিরে॥
        কুহেলির পর্দা ডারি
        ঘুমাত রূপ-কুমারী,
জাগালে স্বপনচারী তাহারে নয়ন-নীরে॥
তোমার ওই তরুণ গলার শুনি গান সিন্ধু-পারে,
দুলিছ মধ্যমণি সুরমার কণ্ঠ-হারে।
        ধেয়ানি দিলে ধরা,
        হল সুর স্বয়ংবরা,
এলে কি পাগল-ঝোরা পাষাণের বক্ষ চিরে॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটি রচনার কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ পাওয়া যায় না। ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার ২৯ অগ্রহায়ণ ১৩৩৪), দিলীপকুমার রায় ইউরোপ ভ্রমণ শেষ কলকাতায় ফিরে আসেন। এই সময় কলকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে তিনি 'সুরের দুলাল‌' কবিতাটি আবৃত্তি করেন। এই অনুষ্ঠানেই উমাপদ ভট্টাচার্য নজরুলের সদ্য রচিত এই গানটি পরিবেশন করেন। গানটি নাচঘর  পত্রিকার ‌৭ই পৌষ ১৩৩৪‌ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। গানটির পাদটীকায় উল্লেখ আছে- ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে দিলীপকুমার রায়ের সম্বর্ধনা উপলক্ষে রচিত ও উমাপদ ভট্টাচার্য কর্তৃক গীত।  এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৮ বৎসর ৭ মাস।
     
  • পত্রিকা: নাচঘর। ৭ই পৌষ ১৩৩৪ (২৩ ডিসেম্বর ১৯২৭)
  • গ্রন্থ:
    • বুলবুল
      • প্রথম সংস্করণ [নভেম্বর ১৯২৮। কার্তিক ১৩৩৫] গান ৪১। ভীমপলশ্রী-দাদরা
      • নজরুল-রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ফাল্গুন ১৪১৩। ফেব্রুয়ারি ২০০৭। বুলবুল। গান ৪১। ভীমপলশ্রী-দাদরা। পৃষ্ঠা: ১৮১]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।