মেঘ মেদুর বরষায় কোথা তুমি (megho medur boroshay kotha tumi)
মেঘ মেদুর বরষায় কোথা তুমি
ফুল ছড়ায়ে কাঁদে বনভূমি॥
ঝুরে বারিধারা
ফিরে এসো পথহারা
কাঁদে নদী তট চুমি’ ॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁর শিষ্যা দীপালী নাগ আগ্রা থেকে তাঁর পিতার সাথে কলকাতায় আসেন। এই সময় সেকালের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ দীলিপকুমার রায়ের বাড়িতে অনুষ্ঠিত একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এই আসরে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির উচ্চপদ্স্থ কর্মকর্তা হেমচন্দ্র সোম তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন এবং তিনি নলিন সরকার স্ট্রিটে অবস্থিত এইচএমভির অফিসে আমন্ত্রণ জানান। এইচএমভির অফিসে প্রথম তাঁর সাথে পরিচয় কাজী নজরুল ইসলামের। দীপালী নাগ এই অফিসঘরের আসরে পরিবেশন করেন- জয়জয়ন্তী রাগে ওস্তাদ ফৈয়াজ খাঁ-এর রচিত গান - মোরে মন্দির আবলো নহি আবে'। এই গানের সুরে তৎক্ষণাৎ নজরুল রচনা করেছিলেন 'মেঘমদুর বরষায় কোথা তুমি। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৫) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে দীপালী নাগের কণ্ঠে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ৩ মাস।
এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে নজরুলের রচিত গানটির রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল।
- রেকর্ড: এইচএমভি। [সেপ্টেম্বর ১৯৩৮ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৫। এন ১৭১৯৩। শিল্পী: দীপালি নাগ (তালুকদার)। রাগ: জয়জয়ন্তী। তাল ত্রিতাল] [শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: আহসান মুর্শেদ [ নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, ছাব্বিশ খণ্ড,নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। আশ্বিন, ১৪১২ বঙ্গাব্দে /সেপ্টেম্বর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ] ২০ সংখ্যক গান। [নমুনা]
- পর্যায়: