চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা (chandini rate kanon-shovate apon hate)
চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা।
সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচির জ্বালা॥
আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব্যথা
তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা॥
যদি ও-গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান
অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। এই গানটি 'আলেয়া' গীতিনাট্যে ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, কল্লোল পত্রিকার 'আষাঢ় ১৩৩৬' সংখ্যার 'সাহিত্য-সংবাদ' বিভাগে এ বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়া যায়। তথ্যটি হলো-
'নজরুল ইসলাম একখানি অপেরা লিখেছেন। প্রথমে তার নাম দিয়েছিলেন 'মরুতৃষ্ণা'। সম্প্রতি তার নাম বদলে 'আলেয়া' নামকরণ হয়েছে। গীতি-নাট্যখানি সম্ভবত মনোমোহনে অভিনীত হবে। এতে গান আছে ত্রিশখানি। নাচে গানে অপরূপ হয়েই আশা করি এ অপেরাখানি জনসাধারণের মন হরণ করেবে।'
এই বিচারে ধারণা করা যায়, গানটি নজরুল রচনা করেছিলেন, ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় (জুন-জুলাই ১৯২৯) মাসের দিকে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩০ বৎসর ১ মাস।
- মঞ্চস্থ নাটক: আলেয়া। ' নাট্যনিকেতন' রঙ্গমঞ্চ। ৩রা পৌষ ১৩৩৮ (শনিবার ১৯ ডিসেম্বর ১৯৩১)
- গ্রন্থ:
- আলেয়া।
- প্রথম সংস্করণ [ডি,এম, লাইব্রেরী। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। প্রথম অঙ্ক: মালার গান।]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। চতুর্থ খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮। মে ২০১১। আলেয়া। প্রথম অঙ্ক: মালার গান। পৃষ্ঠা: ৩২৩]
- সুর-সাকী।
- প্রথম সংস্করণ [আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। জুলাই ১৯৩২] গান ৩৯। সিন্ধু-ভৈরবী-কার্ফা।
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। ঢাকা [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮। মে ২০১১। গান ৩৯। সিন্ধু-ভৈরবী-কার্ফা। পৃষ্ঠা: ২৪৫]
- আলেয়া।
- পত্রিকা: নাচঘর [২৩ শে পৌষ ১৩৩৮ (শুক্রবার ৪ জানুয়ারি, ১৯৩১)]
- রেকর্ড: এইচএমভি [জানুয়ারি ১৯৩৪ (পৌষ-মাঘ ১৩৪০ বঙ্গাব্দ)। নম্বর: জি.টি. ৩৯। শিল্পী মিস্ সরস্বতী।] [নমুনা]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সুধীন দাশ। [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, ত্রয়োদশ খণ্ড। প্রথম সংস্করণ। নজরুল ইন্সটিটিউট । জ্যৈষ্ঠ ১৪০১/মে ১৯৯৪। নবম গান] [নমুনা]
- সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: নাট্যগীতি [প্রেম]
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের গান
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: সা