এসো এসো রস-লোক বিহারী এসো মধুকর-দল (esho esho rosho-lok bihari)

        রাগ: ভৈরবী, তাল: একতাল

এসো এসো রস-লোক বিহারী এসো মধুকর-দল।
এসো নভোচারী ─ স্বপন-কুমার এসো ধ্যান-নিরমল॥
        এসো হে মরাল কমল-বিলাসী,
        বুল্‌বুল পিক সুর-লোক-বাসী,
এসো হে স্রষ্টা এসো অ-বিনাশী এসো জ্ঞান-প্রোজ্জ্বল॥
        দীওয়ানা প্রেমিক এসো মুসাফির ─
        ধূলি-ম্লান তবু উন্নত শির,
আমরা-অমৃত-জয়ী এসো বীর আনন্দ বিহ্বল॥
        মাতাল মানব করি' মাতামাতি
        দশ হাতে যবে লুটে যশ খ্যাতি,
তোমরা সৃজিলে নব দেশ জাতি অগোচর অচপল॥
        খেল চির-ভোলা শত ব্যথা স’য়ে
        সংঘাত ওঠে সঙ্গীত হ’য়ে,
শত বেদনার শতদল ল’য়ে লীলা তব অবিরল॥
        ভুলি’ অবহেলা অভাব বিষাদ
        ধরণীতে আনো স্বর্গের স্বাদ,
লভি’ তোমাদের পুণ্য প্রসাদ পেনু তীর্থের ফল॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে ডিসেম্বর [রবিবার, ১০ পৌষ, ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ] তারিখে কলকাতার এলবার্ট হলে 'বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মেলন'-এর পঞ্চম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসেবে নজরুল এই গানটি রচনা করেছিলেন এবং উক্ত অধিবেশনে নজরুল গানটি পরিবেশন করেছিলেন। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ৭ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • গুলবাগিচা'
      • প্রথম সংস্করণ [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩। গুল-বাগিচা-৪৭। ভৈরবী-একতালা। পৃষ্ঠা: ৫৩-৫৪]
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মজয়ন্তী সংস্করণ পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। গুল-বাগিচা। গান সংখ্যা ৪৭।  ভৈরবী-একতালা। পৃষ্ঠা ২৫২-১৫৩]
  • পত্রিকা:
    • মোয়াজ্জিন [পৌষ ১৩৩৯ (ডিসেম্বর ১৯৩২-জানুয়ারি ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দ)। শিরোনাম: উদ্বোধনী গীতি। ]
    • মোহাম্মদী [মাঘ ১৩৩৯ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি খ্রিষ্টাব্দ)। শিরোনাম: উদ্বোধনী গীতি। ]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।