চলে ঐ আনন্দে ঝর্না রানী (chole oi anonde jhorna rani)
চলে ঐ আনন্দে ঝর্না রানী।
নৃত্যভঙ্গে দোলে অঙ্গখানি॥
সে-নাচ ছন্দে ঝরে স্বর্ণরেণু
বন-রাখাল বাজায় মোহন বেণু,
আবেশে অবশ আজি শ্যাম বনানী॥
হেরে সে-নৃত্য ঐ শত তারকা
গগনে খুলিয়া আজি মেঘ ঝরোকা।
বিহগ-বিহগী নাচে, শিখরে শিখী,
তরুলতা সাথে নাচে কাননে মৃগী,
করে – চাঁদিমায় রজনীতে কানাকানি॥
- ভাবার্থ: এই গানে প্রকৃতির কন্যা ঝর্নাকে সৌন্দর্য-রানির আসনে বসিয়ে, তার নৃত্যের দোলায়িত ছন্দ-সৌন্দর্যকে উপস্থাপন করা হয়েছে। কবি তার ছন্দ-সৌন্দর্যকে ঝরিত স্বর্ণরেণুর সাথে তুলনা করেছেন। এই ছন্দের সাথে বন-রাখাল বাঁশি বাজায়, আর তার সে সুরের আবেশে বিবশা হয়ে যায় শ্যামল বনানী।
মেঘের ঝরকা (ফাঁক-ফোকর) দিয়ে প্রকৃতি-কন্যা ঝর্নার সে নৃত্য দেখে মোহিত হয় আকাশের তারকারা। তার সাথে নাচে পাখিরা, শিখরে (রোমাঞ্চিত হওয়া) ময়ূর, নাচে তরুলতার সাথে বনহরিণ। সে নাচ দেখে প্রকৃতি যেন জ্যোৎস্নাস্নাত রাত্রিতে কানাকানি করে। - রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু যায় নি। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃ্হস্পতিবার ১৪ ফাল্গুন ১৩৪২), জগৎঘটকের রচিত জীবনস্রোত গীতি-আলেখ্য, কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়। এই নাটকে এ গানটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৭ মাস।
- বেতার: জীবনস্রোত [গীতি-আলেখ্য। রচনা জগৎঘটক। কলকাতা বেতার কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬। ১৪ ফাল্গুন ১৩৪২। সান্ধ্য অনুষ্ঠান: ৮.৩০-৯.১৪ মিনিট
[সূত্র:- বেতার জগৎ। সপ্তম বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যা। ১৬ ফেব্রুয়ারি. ১৯৩৬ [পৃষ্ঠা ১৭২]
- The Inidian Listener পত্রিকার ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ সংখ্যা। পৃষ্ঠা ২৩২]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, বর্ষা। নাট্যগীতি