ঐ পথ চেয়ে থাকি আর কত বনমালী।
করে কানাকানি লোক, দেয় ঘরে পরে গালি॥
        মোর কুলের বাঁধন খুলে
        হায় ভাসালে অকুলে,
শেষে লুকালে গোকুলে ─ এ কি রীতি চতুরালি॥

• ভাবসন্ধান: কৃষ্ণ-প্রেম অধীর রাধার অভিব্যক্তি এই গানে উপস্থাপন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কৃষ্ণের দর্শন না পেয়ে, বিরহিণী রাধা সকাতরে বলছেন- আর কতদিন তিনি বনমালীর (কৃষ্ণ) আসার পথ চেয়ে দিন কাটাবেন। তাঁর এই পরকীয়া নিয়ে ব্রজধামে লোকে কানাকানি করে, ঘরেও তাঁকে নানা গঞ্জনা সহ্য করতে হয়। কৃষ্ণের কাছে তিনি অভিযোগ ও অভিমান ভরা আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন- তাঁর বিরহব্যথাতুর মনোবেদনা ভরা অভিব্যক্তিতে।  তাঁর অভিযোগ- তিনি (কৃষ্ণ) রাধাকে কুলের বন্ধন ছিন্ন করে কুলছাড়া করে গোকুলে আত্মগোপন করেছেন। রাধা কৃষ্ণের এই ছলনাকে চতুরালি (চালাকি , প্রতারণা) হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
   
• রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর  (আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) মাসে প্রকাশিত 'চন্দ্রবিন্দু' সঙ্গীত-সংকলনে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩২ বৎসর ৪ মাস।
   
• গ্রন্থ:
  • চন্দ্রবিন্দু।
    • প্রথম সংস্করণ। সেপ্টেম্বর ১৯৩১(আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। সিন্ধু-কাফি, ঠুংরী।
    • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। চন্দ্রবিন্দু। ২১। খাম্বাজ-পিলু-কার্ফা। পৃষ্ঠা: ১৭৪]
  • নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্‌ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০০৩। গান সংখ্যা ১২০৭]
• পর্যায়:
  • বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। কৃষ্ণ। বিরহ