আমার ঘরের পাশ দিয়ে সে চলতো নিতুই সকাল-সাঁঝে (amar ghorer pash diye she cholto nitui shokal shajhe)
আমার ঘরের পাশ দিয়ে সে চলতো নিতুই সকাল-সাঁঝে।
আর এ পথে চলবে না সে, সেই ব্যথা হায় বক্ষে বাজে॥
আমার দ্বারের কাছটিতে তার ফুটতো লালী গালের টোলে,
টলতো চরণ, চাউনি বিবশ, কাঁপতো নয়ন-পাতার কোলে ─
কুঁড়ি যেমন প্রথম খোলে গো!
কেউ কখনো কইনি কথা, কেবল নিবিড় নীরাবতা
সুর বাজাতো অনাহতা গোপন মরম-বীণার মাঝে॥
মূক পথের আজ বুক ফেটে যায় স্মরি’
তারি পায়ের পরশ বুক-খসা তার আঁচর-চুমু,
রঙিন ধুলো পাংশু হ’ল, ঘাস শুকোলো যেচে’
বাচাল যোড়-পায়েলার রুমু-ঝুমু।
আজো আমার কাটবে গো দিন রোজই যেমন কাটতো বেলা,
একলা ব’সে শূন্য ঘরে ─ তেম্নি ঘাটে ভাসবে ভেলা ─
অবহেলা হেলা-ফেলায় গো!
শুধু সে আর তেমন ক’রে
মন র’বে না নেশায় ভ’রে
আসার আশায় সে কার তরে সজাগ হ’য়ে সকল কাজে।
ডুকরে কাঁদে মন-কপোতী 'কোথায় সাথির কূজন বাজে?
সে-পার ভাষা কোথায় রাজে॥
- রচনাকাল: ছায়ানট ।কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণে (আশ্বিন ১৩৩২) অন্তর্ভুক্ত এই গানের সাথে রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে- 'দেওঘর/মাঘ ১৩২৭'। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২১ বৎসর ৮ মাস।
- গ্রন্থ: 'ছায়ানট' প্রথম সংস্করণ [বর্মণ পাবলিশিং হাউস, ২২ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ আশ্বিন ১৩৩২। শিরোনাম ' প্রতিবেশিনী'
- পত্রিকা:
- সওগাত [মাঘ ১৩২৭ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ার ১৯২১)] শিরোনাম। 'বেদন-হারা'।
- মোসলেম ভারত [চৈত্র ১৩২৭ (মার্চ-এপ্রিল ১৯২১)]