ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে। (o baba! turki-nachon nachiye dile)
ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে।
(ওসে) কোন্ অভাগা অঙ্ক-লক্ষ্মী নাম দিল এই শঙ্খ-চিলে॥
দিন রাত্তির অঙ্ক কষে
পান্ হতে চুন কখন্ খসে,
স্ত্রী ব’লে আন্নু ঘরে শাড়ি পরা কোন্ উকিলে॥
প্রাণ-পাখি মোর খাঁচা-ছাড়া, (এই) ঝুল্তি বেণীর গুল্তি ঢিলে’
মাতঙ্গিনী মহিষিণী গুঁতিয়ে ফাটায় পেটের পিলে।
যেমন বাঘ দেখে ছাগ ছুটেরে ভাই
তেমনি কাছা খুলে পালিয়ে বেড়াই
ওগো মাগো এসে রক্ষা কর হালুম-বাঘায় ফেল্ল গিলে॥
২৩৭৫. নাটিকা : ‘বিয়ে বাড়ি’
চাকর : শুনতিছ? ও বিন্দে! ও কনে বাড়ির ঝি!
এ্যাঃ কথাটা মোটেই কানে যাচ্ছে না!
বলি একবার ফিরে চাইয়েই দ্যাখো!
ও বিন্দে! ঘাড় ফিরায়ে চাও তোমার ঐ চোখ মেলে।
সত্যি বল্তিছি, তুমি সগ্যে যাবা আমার মতন লোক পেলে॥
ঝি : ‘তুই বরের বাড়ির চাকর, সেই সম্পক্কে বেহাই
তাই পেলি আজ রেহাই।
নইলে পোড়ার মুখে দিতাম ঢেলে বাসি-আকার ছাই॥
চাকর : কেডা কলো বিন্দে, মোগো সম্পক্ক নাই?
আমি তোমার ননদের যে একমাত্র ভাই।
তাকি ভুলে গেলে?
ঝি : মর্ মিন্সে সয় না সবুর হাড় জ্বালাতে ফের এলে।
ঘেমে নেয়ে উঠেছো যে বিরহেরি বোঝা ঠেলে!
একটু দাওয়ার বোসো।
চাকর : [বাতাস কর্বা নাকি?]
ঝি : আঃ চুপ্, চুপ্ করে ঐ দাওয়ায় বোসো
হওয়ায় মাথা ঠাণ্ডা হবে, ঐ দাওয়ায় বোসো
প্রেম-পাগলের দাওয়াই যে ঐ!
চাকর : আজ হ্যাঁকোচ্-প্যাঁকোচ্ কর্তিছে প্রাণ পুলকেরই ঠেলায়।
ঝি : আর এক-যাত্রায় পৃথক ফল আমাদেরই বেলায়!
মোরা গিলব অঢেল আনন্দে, আজ একটু ছাড়া পেলে।
চাকর : যেমন দুর্ভিক্ষেরই দেশের মানুষ গো-গেরাসে গেলে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৫) মাসে, টুইন রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২৩৭২। পৃষ্ঠা: ৭২৪]
- রেকর্ড: টুইন [জুলাই ১৯৩৮ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৫)। এফটি ১২৪৫২। শিল্পী: গোপাল ভট্টাচার্য। সুর রঞ্জিৎ রায়]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- সেলিনা হোসেন। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, একান্নতম খণ্ড, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪২৭। জুন ২০২১। রেকর্ডে গোপাল ভট্টাচার্যের গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। গান সংখ্যা ৭। পৃষ্ঠা: ৩৮-৪১। [নমুনা]
- পর্যায়: