ওমা ত্রিনয়নী! সেই চোখ দে যে-চোখ তোরে দেখতে পায় (o maa trinoyoni ! sei chokh de je- chokh tore dekhte pay)
ওমা ত্রিনয়নী! সেই চোখ দে যে-চোখ তোরে দেখতে পায়।
সে নয়ন-তারায় কাজ কি তারা যে-তারা লুকায় মা তারায়॥
আমি চাইনে সে-চোখ যে-চোখ দেখে মায়া
অনিত্য এই সংসারেরই ছায়া,
যে-দৃষ্টি দেখে নিত্য তোরে সেই দৃষ্টি দে আমায়॥
ও মা নিবিয়ে দে এই নয়ন-প্রদীপ দেখায় যাহা দুঃখ শোক,
এই আলেয়া পথ ভুলিয়ে যায় মা নিয়ে নরক-লোক।
তোর সৃষ্টি চির-আনন্দময় নাকি
দেখব সে-লোক, দে মোরে সেই আঁখি,
দেখে না রোগ-মৃত্যু-জ্বরা তোর সন্তান সেই দৃষ্টি চায়॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় নি। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৪৫) মাসে, টুইন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ২ মাস।
- রেকর্ড: টুইন। আগষ্ট ১৯৩৮ (১৬ শ্রাবণ-১৪ ভাদ্র ১৩৪৫)।এফটি ১২৪৮৮। শিল্পী: নারায়ণ দাস বসু
- সুরকার: নজরুল ইসলাম
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- সেলিনা হোসেন। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, একান্নতম খণ্ড, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪২৭। জুন ২০২১। রেকর্ডে নারায়ণ দাস বসু'র গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। গান সংখ্যা ৮। পৃষ্ঠা: ৪২-৪৪। [নমুনা]
- সেলিনা হোসেন। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, একান্নতম খণ্ড, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪২৭। জুন ২০২১। রেকর্ডে নারায়ণ দাস বসু'র গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। গান সংখ্যা ৮। পৃষ্ঠা: ৪২-৪৪। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [সনাতন হিন্দু ধর্ম, শাক্ত]
- সুরাঙ্গ: রাগাশ্রয়ী
- রাগ: দরবারি-কানাড়া
- তাল: তালছাড়া
- গ্রহাস্বর: স