ও মেঘের দেশের মেয়ে (o megher desher meye)
ও মেঘের দেশের মেয়ে।
কোথা হ'তে এলি রে তুই কেয়াপাতার খেয়া বেয়ে॥
ধারা নূপুর রুনঝুনিয়ে
কানে কদম দুল দুলিয়ে
ফুল কুড়াতে এলি কি তুই মোর কাননে ধেয়ে॥
পূব-হাওয়াতে উড়ছে আঁচল নীলাম্বরী,
তুমি বুঝি ভাই রূপকাহিনীর মেঘ্লা-পরী।
তোর কণ্ঠে বাজে যে গান মধুর
তারি' তালে নাচে ময়ূর,
মেঘ-মাদলের সাথে ওঠে আমারও মন গেয়ে॥
- ভাবার্থ: এই গানের মেঘের দেশের কন্যা হলো- মেঘবালিকা। কবি তার রূপকল্পে ভাবেন বর্ষার আগমনে এই মেঘবালিকা আসে বর্ষার কেয়াপাতার নৌকা বেয়ে। তার আগমনে বর্ষাধারার রুনুঝুনু নূপুর বেজে উঠে, কদমফুল তার কানে দুল হয়ে দোলে। কবি কল্প-দর্শনে দেখেন যেন, এই মেঘবালিকা বর্ষায় কবির বাগনে নেমে আসে ফুল কুড়ানোর ছলে।
পুবালি হাওয়ায় ওড়ে তার নীলাম্বরী আঁচল। কবির কাছে, এই মেঘবালিকাকে মনে হয় রূপকথার মেঘপরী। তার কণ্ঠে বাজে বর্ষার মধুর সঙ্গীত, সে সঙ্গীতের ছন্দের সাথে ছন্দ মিলিয়ে নেচে ওঠে ময়ূর। যে সঙ্গীতের অনুষঙ্গী হয়ে বাজে মেঘ-মাদল। সে মধুর সঙ্গতীতের সাথে কবি একাকার হয়ে যান। তাই কবির মনও গেয়ে ওঠে সে সমবেত সঙ্গীতের অংশভাগী হয়ে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১২৯৯।
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, বর্ষা