আমার সোনার হিন্দুস্থান (amar sonar hindustan)

আমার সোনার হিন্দুস্থান!
দেশ-দেশ-নন্দিতা তুমি বিশ্বের প্রাণ॥
ধরণীর জ্যেষ্ঠা কন্যা তুমি আদি মাতা,
তব পুত্র গাহিল বেদ-বেদান্ত সাম-গাথা,
তব কোলে বারে বারে এলো ভগবান॥
আদিম যুগের তুমি প্রথমা ধাত্রী,
তোমার আলোকে হল প্রভাত রাত্রি,
সবে বিলাইয়ে অমৃত সঙ্গীত জ্ঞান॥
সোনার শস্যে তব ঝলমল বর্ণ,
অন্তরে মানিক্য-মণি-হীরা-স্বর্ণ,
বর্বরে করিয়াছ মানব মহান্‌॥
হিংসা-দ্বেষ-ভোগ-ক্লান্ত এ বিশ্ব
আবার শিখিবে ত্যাগ, হবে তব শিষ্য,
বাঁচাবে সবারে করি’ অমৃত দান॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় (জুলাই ১৯৩২) মাসে প্রকাশিত 'সুর-সাকী' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ১ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • সুর-সাকী
      • প্রথম সংস্করণ [আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। জুলাই ১৯৩২)]
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। সুর-সাকী। ৬৫ সংখ্যক গান। পাহাড়ি মিশ্র- কার্ফা। পৃষ্ঠা ২৬৩]
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ,[নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২২৮৬। রাগ: পাহাড়ি মিশ্র, তাল: কাহারবা। পৃষ্ঠা: ৬৮৫]
  • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২)। ১০৮৮ সংখ্যক গান।
     
  • রেকর্ড: মেগাফোন [সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪০)]। জেএনজি ৬৫। শিল্পী: জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঘোষ। [শ্রবণ নমুনা]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।