ওগো মাগো আজো, বেঁচে আছি (ogo mago ajo beche achi)
ওগো মাগো আজো, বেঁচে আছি, তোরই প্রসাদ পেয়ে।
তোর দয়াময়ী অন্নপূর্ণা, তোরই অন্ন খেয়ে॥
কবে কখন খেলার ছলে,
ডেকেছিলাম শ্যামা ব’লে;
সেই পুণ্যে ধন্য আমি, আজ তোরই নাম গেয়ে॥
তোরই নাম-গান বিনা আমার পুণ্য কিছুই নাই,
পাপী হয়েও পাই আমি তাই, যখন যাহা চাই।
দুঃখে শোকে বিপদ ঝড়ে,
বাঁচাস্ মা তুই বক্ষে ধ’রে;
দয়াময়ী নাই কেহ মা, ভবানী তোর চেয়ে॥
- ভাবসন্ধান: কবি মনে করেন মাতৃরূপিণী দুর্গার অনুগ্রহের প্রসাদ পেয়ে, তিনি বেঁচে আছেন। তাঁরই করুণায় (দয়াময়ী অন্নপূর্ণা) পাওয়া অন্ন গ্রহণ করে তিনি বেঁচে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। কবি মনে করেন. হয়তো কোনো এক সময় খেলাচ্ছলে তিনি শ্যামা নামে তাঁকে শরণ করেছিলেন। সেই পূণ্যে ধন্য হয়ে এখনও তাঁরই নাম গেয়ে বেড়ান কবি।
কবি মনে করেন- তাঁর নাম-গান ছাড়া তাঁর পূণ্য কিছু নাই। তিনি পাপী হয়েও দেবীর কাছে যা চান, তাই পান। দুঃখ-শোক ও জীবনের নানা বিপদ থেকে তিনি সন্তানের মতো বক্ষে ধরে তাঁকে রক্ষা করেন। তাই তিনি মনে করেন ভবানী (দুর্গা) ছাড়া আর কোনো দয়াময়ী সত্তা নেই।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৪) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ১ মাস।
- রেকর্ড: এইচএমভি [জুন ১৯৩৭ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৪)। এন ৯৯০৩। শিল্পী: জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঘোষ। সুর: নজরুল ইসলাম] [শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সালাউদ্দিন আহ্মেদ [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, অষ্টাদশ খণ্ড। প্রথম সংস্করণ। নজরুল ইন্সটিটিউট আশ্বিন ১৪০৪/অক্টোবর ১৯৯৩। ষষ্ঠ গান] [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম, শাক্ত। দুর্গা। বন্দনা
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল: দাদরা
- গ্রহস্বর: পদা