(ওরা) মানুষের তরে মালা গাঁথে (ora manusher tore mala gathe)
(ওরা) মানুষের তরে মালা গাঁথে, তাই সে-মালা শুকিয়ে যায় গো!
সে-মালা শুকায় না কভু যারা দেয় শ্রীহরির পায় গো॥
হরির চরণে নিবেদিত যার আত্মা ও তনুমন,
এই সংসার তার কাছে হায় নিত্য বৃন্দাবন!
(তার) হারায় না কিছু গো সকলই সে পায় শ্রীহরির করুণায়॥
- ভাবসন্ধান: সাধারণ মানুষ তার প্রিয়জনের জন্য যে মালা গাঁথেন, তা ক্ষণিকের উপহার। সময়ের সাথে সাথে তা মলিন হয়ে যায়। কিন্তু শ্রীহরির কাছে যে মালা পরম ভক্তিতে অঞ্জলি দেওয়া হয়, সে মালা শুকায় না। সে অম্লান হয়ে ভক্তিমার্গে চিরঞ্জীব হয়ে থাকে।
শ্রীহরির চরণে যিনি তাঁর আত্মা ও তনুমন নিবেদন করেন, তাঁর কাছে জগৎ হয়ে ওঠে নিত্য বৃন্দাবনতুল্য আনন্দময়। যিনি শ্রীহরির করুণা পান, তাঁর হারাবার কিছু থাকে না। তিনি হয়ে ওঠেন সর্বজয়ী ।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর তারিখে (শনিবার ২১ অগ্রহায়ণ ১৩৪৭), কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটারে দেবেন্দ্রনাথ রাহা রচিত 'অর্জুন বিজয়' নামক নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। উক্ত নাটকে এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪১ বছর ৬ মাস।
- মঞ্চ: অর্জুন-বিজয় (নাটক)। নাট্যকার দেবেন্দ্র রাহা। পরিচালনা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। প্রথম মঞ্চস্থ- মিনার্ভা থিয়েটার [৭ ডিসেম্বর ১৯৪০ (শনিবার, ২১ অগ্রহায়ণ ১৩৪৭)]। শিল্পী: ইভা। চরিত্র: নন্দবালা।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২)। ১৩১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৩৯৭।
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। হরি। বন্দনা।