ওরে ডেকে দে, দে লো মহুয়া বনে ফুল ফোটাতো বাজিয়ে বাঁশি কে (ore deke de , de lo mohuya bone ful fotate)

ওরে ডেকে দে, দে লো মহুয়া বনে ফুল ফোটাতো বাজিয়ে বাঁশি কে।
বনের হরিণ নাচাতো, পাখিকে গান গাওয়াতো,
                ঢেউ ওঠাতো ঝর্না জলে পাহাড়তলিতে॥
তার গানের কথা জানিয়ে দিত ফুলের মধুকে
তার সুরের নেশা করতো ব্যাকুল মনের বঁধুকে,
বুকের মাঝে বাজতো নূপুর চপল হাসিতে॥
আঁধার রাতে ফোটাত সে হলুদ গাঁদার ফুল,
সে বন কাঁদাতো মন কাঁদাতো, কাজ করাতো ভুল।
আর সে বাঁশি শুনি না, ধোঁয়ার ছলে কাঁদি না,
রাঙা শাড়ি পরি না, নোটন খোঁপা বাঁধি না 

আমি রইতে নারি না হেরে সেই বন উদাসী কে গো॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৯) মাসে, সেনোলা রেকর্ড কোম্পানি এই গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪৩ বৎসর ৬ মাস।
     
  • রেকর্ড: সেনোলা [ডিসেম্বর ১৯৪২ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৯)। কিউএস ৫৯৩। শিল্পী: শৈলদেবী। সুর নজরুল।] [শ্রবণ নমুনা]
     
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:  নীলিমা দাস। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, বত্রিশতম খণ্ড,  নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা।   ফাল্গুন ১৪১৫। ফেব্রুয়ারি ২০০৯] তৃতীয় গান। রেকর্ডে  শৈলদেবী'র গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। [নমুনা]
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: প্রেম
    • সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।