ওরে নেইকো, ডানা উড়ে এলি সাবাস (ore neiko , dana ure eli sabas)
কবির লড়াই’ (দ্বিতীয় খণ্ড)
বয়ান : [গুমানি এসে চাপানের কাটার দিচ্ছে।]
ওরে নেইকো, ডানা উড়ে এলি সাবাস! জীবন উড়ে,
সাবাস! সাবাস! সাবাস!]
ওরে আমার ভয়ে জীবন এবার যায় বুঝি তোর উড়ে।
[উড়ে উড়ে যা, ও উড়ে উড়ে যা, কটকে পুরীতে উড়ে যা,
উড়ে যা, উড়ে যা, উড়ে, ওরে উড়ে যা]
(বাবু গো) বুড়ো বলদ লড়তে এলো, এলো দামড়ার সাথে [হা-হা-হা]
আর ব্যাঙ বলে আজ চীৎ করবো হাতিকে এক লাথে।
[উড়ে উড়ে যা, ও উড়ে উড়ে যা, হা-হা-উড়ে যা।
ওরে ভূতের বাপের নাম? ওরে আবাগে, আবাগে,
ওরে ব্যাটার ছেলে আবাগে।
ভূতের বাপের নাম আবাগে তাইতে মহাশয়,
আবাগের বেটা ভূত, গাল দিয়ে লোক কয়!
[উড়ে উড়ে যা, ও উড়ে উড়ে যা। উড়ে যা, উড়ে যা, উড়ে যা।]
ভেবেছিলি ঘোড়ার ডিমের প্রশ্নে করবি ঠাণ্ডা?
[আর ও-ই, আরে ও-আটকড়ি কাওয়া]
ওরে গোড়ার মধ্যে পঙ্খীরাজ ঘোড়াতে দেয় আণ্ডা।
[উড়ে উড়ে যা, কী বাবু অ্যা? হলি ঠাণ্ডা, অ্যা?
গণ্ডা গণ্ডা ঘোড়ার আণ্ডা দেখে? আরে ও-ই?
ওরে দেখে যা, দেখে যা, দেখে যা, ওরে ঘোড়ার আণ্ডা দেখে যা।]
[ওরে মহাদেবের সর্দি হয় না কেন? হ্যাঁ এইতো বল্বি?
তাও জানিস্নে? আরে ও-ই, হা-হা-হা- ]
বাবু গো বেলের আঠায় শিবের জটায় ওয়াটার-প্রুফ হয়ে, বেলেস্তারা হয়ে,
সর্দি হয় না শিব ঠাকুরের গঙ্গা মাথায় ল’য়ে।
[উড়ে উড়ে যা, ও উড়ে উড়ে যা, ও উড়ে উড়ে যা,
উড়ে যা, উড়ে যা]
ওরে রাবণ রাজার দশটা মুণ্ডের ন’টা ছিল সোলার,
ভয় দেখাতে – এই মতলব রাক্ষসেরই পোলার।
[উড়ে উড়ে যা, ও উড়ে উড়ে যা। ওরে শোবার সময়, বুঝ্লি?]
ওরে শোবার সময় সোলার মাথা-মুখোশ রাখতো খুলে’
[এবার আমি যদি চাপন দিই কি হয়, অ্যাঁ?]
এবার আমি যদি চাপন দিই তুই ছুট্বি রে ল্যাজ তুলে’।
[ওরে উড়ে যা, ছোট্ ছোট্ ল্যাজ তুলে ছোট্,
ছোট্ ছোট্ কাছা খুলে ছোট্, ছোট্ ছোট্ কাছা খুলে ছোট্।
বনে ও বাদাড়ে, পগারে পাহাড়ে ছুটে যা।
ছুটে যা, ছুটে যা, ছুটে যা;
ছুটে যা, ছুটে যা, ছুটে যা; ছুটে যা, ছুটে যা, ছুটে যা।]
ওরে মোর গুমানি নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে,
ওরে ব্যাটা বাহাদুরি করলি তো খুব, এবার আমি শুনাই ইয়ে?
কি? তোর গুরুর গোড়ায় কি রে? আরে ও-ই?
তোর গুরুর গোড়ায় কি?
ওরে সাগুর শেষে কি? মাগুর মাছের মাঝে কি খাস্?
তুই জ্বর হলে খাস্ গুলঞ্চরস, তার প্রথমে কি রে, অ্যাঁ?
বেগুনের মাঝে কি খাস্? তারে কি কয়?ছি
খাস্নে,ও জীবনেও খাস্নে- খাস্নে- খাস্নে
অত ক’রে খাস্নে।
খাস খাস পাতিহাঁস খাস, খাস্ খাস্ পাতিহাঁস খাস,
যাবা বাপ্ দিল্লী যাবা? দিল্লীর লাড্ডু খাবা?
কুমড়ো- ছাঁচি কুমড়ো,কুমড়ো-চাল্ কুমড়ো
বজ্রযোগিনী যাবা না ভগিনী?
যাবিনে যাবিনে যা, যাবিনে,যাবিনে,যা,যাবিনে যাবিনে যা॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু যায় নি।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ৩০১১। পৃষ্ঠা: ৯২১]
সূত্র: দুর্গাদাস চক্রবর্তীর খাতা।