ওরে বাবা! এরনাম নাকি পূজা! (ore baba! er nam naki puja!)
‘পূজার ঠ্যালা’
ওরে বাবা! এরনাম নাকি পূজা! (রে ভাই)।
(এই) পূজার ঠ্যালা সইতে সোজা মানুষ হয় যে কুঁজা।
ষষ্ঠীর কৃপায় দশটি মেয়ে রাবণের গুষ্টি সঙ্গে
আঁচিলের মতন এঁটুলির মতন নেপটে আছেন অঙ্গে।
এরা ছাড়ে না, - তবু আঁচিল ছাড়ে খেলে হোমিওপ্যাথিক থাজা॥
বেনারসি, ঢাকাই, রেশমি তসর, এণ্ডি, মট্কা
বইতে বইতে গা দিয়ে দাদা ঘাম ছুটে যায় বোঁট্কা।
(এই) চাওয়ার ভয়ে শিব ন্যাংটা, কথা কন্ না দশভুজা॥
গিন্নি কন্যে হন্যে হয়ে সদাই সওদা করে
(ওরা ভাবে) ব্যাঙ্কের টাকা যেন ট্যাঙ্কের জলের মতন ঝরঝর ক’রে ঝরে
তাদের এক গোঁ থিয়েটার, সিনেমা, এসেন্স, পাউডার খুঁজা॥
এ সব যদি জুটল, তবে যেতে হবে চেঞ্জে
শালা শালী সবাই এক জোটে বলে এবার ‘সস্তায় ট্রেন যে,’, ও বোনাই।
(না গেলে) দেখব সদাই গিন্নীর কুতুরে চক্ষু কেৎরে-বুঁজা॥
সবাই যেন শ্রীদুর্গার গুষ্টি, আমি যেন বাহন সিঙ্গি,
আসছে বছর পূজায় মাগো হব আমি ফিরিঙ্গি। জয় বাবা যীশুখ্রিস্টের জয়
(এই পূজার সময়) পিতা হওয়ার চেয়ে হাড়িকাঠের পাঁঠা হওয়া সোজা॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৬) মাসে এইচএমভি থেকে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল- ৪০ বৎসর ৪ মাস
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২)। গান সংখ্যা ২৩৭৪। পূজোর ঠেলা। পৃষ্ঠা: ৭২৫।
- রেকর্ড: এইচএমভি [অক্টোবর ১৯৩৯ (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৬)। এন ১৭৩৬৮। শিল্পী: রঞ্জিত রায়। টাইটেল: পূজোর ঠেলা। ]