ওরে ভবের তাঁতি! হরিনামের এঁড়ে গরু (ore bhober tati! horinamer ere goru)
ওরে ভবের তাঁতি! হরিনামের এঁড়ে গরু কিনিস্ নে।
তুই মূলে শেষে হাবাত্ হবি ঠাকুরকে তুই চিনিস্ নে।
রসিক ঠাকুরকে তুই চিনিস্ নে॥
তুই খাচ্ছিস, বেশ ভবের তাঁতে বু’নে
চালিয়ে মাকু, ঘুরিয়ে টাকু, তাঁতের গান শু’নে
(ও তুই) সুখে খাবি আয়েশ পাবি
ঐ গরু কেনার টাকাতে তুই জরু আনার জিনিস নে॥
পরমার্থের কিন্লে এঁড়ে, অর্থ যাবে ছেড়ে
তোর ঘাড়েরই লাঙল তোকে শেষে আসবে তেড়ে!
কুল যাবে তোর, যাবে জাতি মান
(এই গো-কুলের এঁড়ে এনে) যাবে জাতি মান,
দুঃখ অভাব শোক এসে তোর ধরবে রে দুই কান
শেষে কি কান খোয়াবি কানা হবি ভ’জে কানাই শ্রীকৃষ্ণে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৫) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটির রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২৩৭৫। পৃষ্ঠা: ৭২৫]
- রেকর্ড: এইচএমভি [অক্টোবর ১৯৩৮ (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৫)]। এন ১৭২০৩। শিল্পী: হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
- সুরকার: নজরুল ইসলাম
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
- সেলিনা হোসেন। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, একান্নতম খণ্ড, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪২৭। জুন ২০২১। রেকর্ডে হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। গান সংখ্যা ৯। পৃষ্ঠা: ৪৫-৫০। [নমুনা]
- পর্যায়: