ওহে নাগর শ্যাম-কালাচাঁদ, পরজনমে হয়ো রাধা। (ohe nagor shyam-kalachad, porojonome hoyeo radha)
ওহে নাগর শ্যাম-কালাচাঁদ, পরজনমে হয়ো রাধা।
মোর এ হৃদয়, তোমার এ মন একই প্রেম ডোরে বাঁধা।
তুমি বুঝিবে তখন,
নারীর কি বেদন,
কৃষ্ণ প্রেমে শ্রীরাধার কত জ্বালা॥
আমি কৃষ্ণ হইব, বাজাইব বাঁশি গোকুলের বাটে বাটে।
তুমি হবে রাধা, আমি হবো শ্যাম দেখা হবে যমুনার ঘাটে।
তুমি জল ফেলে জল আনতে যেয়ো, মেনো না ননদী বাধা॥
তুমি আমার বাঁশি শুনে
গুমরিয়া মনে মনে,
তুমি খুঁজিও হে বনে বনে, বন ফুলে গেঁথো মালা॥
- রচনাকাল: ১৯১০-১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ (১৩১৭-১৩১৯ বঙ্গাব্দ)। বরধ্মান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে, নজরুলের ১১ থেকে ১৩ বৎসর বয়সের রচনা।
- গ্রন্থ:
- দুখুমিয়ার লেটো গান। চাপান সং। কলঙ্কভঞ্জন। প্রথম দৃশ্য। পঞ্চম দৃশ্যান্তর। প্রথম গান। রাধার গান। সংকলক ও সম্পাদক: মুহম্মদ আয়ুব হোসেন। বিশ্বকোষ পরিষদ। নজরুল ফাউন্ডেশন। ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪১০, ৬ ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ১২৯।
- নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০০৩। লেটোগান। গান সংখ্যা ২৬৭৫]
- বিষয়াঙ্গ: কৃষ্ণপালা অবলম্বনে রচিত 'কলঙ্কভঞ্জন' পালার চাপান সং'-এর একাদশ গান। ভণিতা নাই ।