কানাই রে কই তোর চূড়া বাঁশরি (kanai re koi tor chura banshori)

নিত্যানন্দ  :   কানাই রে কই তোর চূড়া বাঁশরি!
                 তুই নাকি সেই নন্দদুলাল এলি নদীয়ায় ব্রজ পাশরি'॥
    নিমাই  :   কি পুছসি আমারে ভাই
                 এবার চূড়া বাঁশরি নাই,
                 ব্রজের খেলা বাঁশির তান
                 ন'দের খেলা হরি-গান।
                 ব্রজের বেশ ধড়াচূড়া
                 ন'দের বেশ কৌপীন পরা,
                 ব্রজের খেলা রাখাল হয়ে,
                 ন'দের খেলা ধূলি ল'য়ে।
নিত্যানন্দ  :   নদীয়াতে বিষ্ণুপ্রিয়া, ব্রজের রাইকিশোরী॥

  • ভাবসন্ধানী: বিষ্ণুপ্রিয়া নাটকের জন্য রচিত এই গানে- কৃষ্ণের অবতার হিসেবে নদীয়ায় আবির্ভূত শ্রীচৈতন্য আর নিত্যানন্দের সংলাপের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে- শ্রীচৈতন্যএর স্বরূপ।

    নিত্যানন্দের কৌতুহল- চৈতন্য যদি ব্রজের নন্দদুলাল (কৃষ্ণ) হয়ে থাকেন, তাহলে  ব্রজের কৃষ্ণের মাথার চূড়া-বিশিষ্ট মুকুট আর বাঁশী কোথায়। উত্তরে নিমাই (শ্রীচৈতন্য) বলছেন- এবারের কৃষ্ণের চূড়া বাঁশরি নাই। ব্রজের কানাইয়ের খেলাতে ছিল বাঁশির তান, আর নদীয়ার শ্রীচৈতন্যের খেলায় আছে শধু হরি-গান। ব্রজের কানাইয়ের বেশ ছিল ধড়াচূড়া, আর নদীয়ার শ্রীচৈতন্যের বেশ হলো কৌপীন। ব্রজের কানাই লীলা করেছেন রাখাল হয়ে, নদীয়ার নিমাই খেলেন ধূলি নিয়ে। নিমাইয়ের সংলাপের পরে নিত্যানন্দ সম্পূরক কথা হিসেবে বলেন- নদীয়াতে নিমাইয়ের সঙ্গিনী বিষ্ণুপ্রিয়া, আর ব্রজের কানাইয়ের সঙ্গিনী ছিলেন রাইকিশোরী।

     
  • রচনাকাল ও স্থান:ই নাটকের রচনাকাল ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কিছু জানা যায় নি। আব্দুল কাদেরের সম্পাদিত নজরুল রচনাবলীর পঞ্চম খণ্ডের, দ্বিতীয়ার্থে (১৯৮৪), ' বিষ্ণুপ্রিয়া নামক একটি অসমাপ্ত নাটক অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।  গানটি এই নাটকের দশম দৃশ্যে ' নিত্যানন্দ ও নিমাইয়ের গান' হিসেবে পাওয়া যায়।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১৩৭৩]
    • নজরুল-রচনাবলী জন্মশতবর্ষ সংস্করণের অষ্টম খণ্ডে (২৭ আগষ্ট ২০০৮)]। বিষ্ণুপ্রিয়া। দশম দৃশ্য। নিত্যানন্দ ও নিমাইয়ের গান। পৃষ্ঠা: ১৯৬
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। শ্রীচৈতন্য। পরিচয়

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।