কুল্ মখ্‌লুক গাহে হজরত বালাগাল উলা বেকামালিহি (kul makhluk gahe hazrat balagal ula bekamalihi)

কুল্ মখ্‌লুক গাহে হজরত বালাগাল উলা বেকামালিহি।
আঁধার ধরায় এলে আফতাব কাশাফাদ্দুজা বেজামালিহি

            রৌশনিতে আজো ধরা মশ্‌গুল
            তাই তো ওফাতে করি না কবুল,
হাসনাতে আজো উজালা জাহান সাল্লু, আলায়হি ওয়া আলিহি॥
            নাস্তিরে করি' নিতি নাজেহাল্
            জাগে তৌহিদ দ্বীন্‌-ই-কামাল,
খুশ্‌বুতে খুশি দুনিয়া বেহেশ্‌ত্ সাল্লু আলায়হি ওয়া আলিহি॥

  • ভাবসন্ধান: এটি একটি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর প্রশংসামূলক গান। এই গানে আরবি/ফারসি শব্দে রচিত একটি কাব্যাংশ বা বায়ত, এই গানের অপূর্ব কৌশলে ব্যবহার করা করা হয়েছে।  মূল কাব্যাংশ হলো-
    বালাগাল উলা বিকামালিহি: নবী মুহাম্মদ ﷺতাঁর পূর্ণতা (কামাল) দ্বারা উচ্চ শিখরে পৌঁছেছেন।
    কাশাফাদ দুজা বিজামালিহি: তাঁর সৌন্দর্য (জামাল) অন্ধকার (দুজা) দূর করেছে।
    হাসুনাত জমিয়ু খিসওয়ালিহি: তাঁর সকল গুণাবলি (খিসওয়াল) অতুলনীয়ভাবে সুন্দর।
    সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি: তাঁর ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি দরুদ পাঠ করো।
    কবি এই কাব্যাংশের প্রতিটি পঙ্‌ক্তিকে সামঞ্জস্যপূর্ণভবে স্বতন্ত্র ভাবাদর্শে উপস্থাপন করেছেন এই গানে। গানটির প্রথম পঙ্‌ক্তিকে বলা হয়েছে-  সকল সৃষ্টি (কুল মখলুক) তাঁর (নবী হজরত মুহাম্মদ ﷺ) প্রশংসার যোগ্য হয়ে তিনি পূর্ণতার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন। জ্ঞানহীন অন্ধকার পৃথিবীতে তিনি এসেছিলেন জ্ঞান সূর্য-হিসেবে। তাই গানটির দ্বিতীয় পঙ্‌ক্তিতে বলা হয়েছে- এই আঁধার পৃথিবীতে তিনি আফতাবের (সূর্য) মতো উদিত হয়েছিলেন। তাঁর সত্য-সৌন্দর্যে কল্যাণে জগতের সকল অন্ধকার দূর হয়েছিল। তাঁর আলোর মহিমায় এখনো পৃথিবী আলোকিত। তাই তাঁর ওফাত (পরলোকগমন) হয়েছে এ কথা কবি মানতে চান না। তাঁর সকল খিসওয়াল (গুণাবলি) অতুলনীয়ভাবে সুন্দর। তাই নবিজি ﷺও তাঁর পরিবারবর্গের উপর দরুদ পাঠ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

    যারা নাস্তিক, তাদের প্রত্যহ লাঞ্ছিত করে বিজয়ী হয় ইসলামের একত্ববাদের পরিপূর্ণ জীবনপথ (দ্বীন্‌-ই-কামাল)। কবি মনে করেন- একত্ববাদের মধুর জ্ঞানসৌরভে আনন্দিত আমোদিত দুনিয়া ও বেহেশ্‌ত। তাই নবি ও  তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি দরুদ পাঠ করার অনুরোধ করেছেন কবি।

     
  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। 
     
  • গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১৩৩৭ গান। পৃষ্ঠা: ৪০৫।
  • পত্রিকা: মাহে নও [কার্তিক ১৩৬৯ (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৬২) ]
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। ইসলাম ধর্ম। নাত-এ রসুল

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।