কুহু কুহু কুহু ব'লে মহুয়া-বনে (kuhu kuhu kuhu bole mohuya-bone)

কুহু কুহু কুহু ব'লে মহুয়া-বনে।
মাধবী চাঁদ এলে পূব-গগনে॥
দুলে ওঠে বনান্ত আসিলে কে পান্থ,
তব পদধ্বনি অশান্ত 
 হে শুনি মম মনে॥
বাতায়নে প্রদীপ জ্বালি'
আসা-পথ চাহি', প্রহর গণি, গান গাহি'।
এলে আজি নিশীথে দেখা দিতে তৃষিতে,
শুনি দশ-দিশিতে 
 বাঁশি তব ক্ষণে ক্ষণে॥

  • ভাবার্থ: বসন্তের আগমনে প্রকৃতিতে গন্ধ-বর্ণ-সুরধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে প্রকৃতি। তাই মহুয়া বন অবিরত কোকিল কুহু কুহু ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে, পূব-গগনে দেখা দেয় বসন্তের মাধবী চাঁদ। বসন্তের বন-বনান্ত দুলে ওঠে বর্ণ-সৌরভে। বসন্তের আগমনের পদধ্বনি কবি অনুভব করেন- তাঁর মনোলোকে। তাই কবির মনের বাতায়ন খুলে বসন্তের আগমনের প্রহর গোনেন পথের দিকে চেয়ে, তাঠর মন ভরে ওঠে সঙ্গীতের সূরসৌন্দর্যে। রাত্রির গভীরে যখন বাসন্তীদেবী তৃষ্ণার্ত মনে ধরা দেন, তখন তাঁর আগমনে বাদিত বাঁশির সুমধুর ধ্বনি কবি শুনতেন পান দশদিকে। 
     
  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
     
  • গ্রন্থ: নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্‌ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ১৩৬২।
  • পর্যায়
    • বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, বসন্ত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।