কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জরি-কর্ণে (krishnochurar ranga monjori-korne)

       কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জরি-কর্ণে।
       আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে॥
       মোরে চেন কি?
মোর  আঁচলে চাঁপা, হেনা যুঁই অতসী।
মোর  বনের সাজিতে ভরা পলাশ বকুল
       নব আমের মুকুল,
 মম  উত্তরী ঝলমল কিশলয়ে পর্ণে॥
       আনি' মলয়-গিরি হ'তে চন্দন-গন্ধ
       হৃদয়-উদাস-করা সমীর সুমন্দ,
       ছড়াই আবির হাসি জোছনার স্বর্ণে॥

  • ভাবার্থ: কবি এই গানে প্রকৃতির রূপ পরিবর্তনে বসন্তের ভূমিকার বর্ণনা করছেন- প্রকৃতির কন্যা বাসন্তিকা হয়ে।

    বসন্তকন্যা কানে কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জরির দুল দুলিয়ে, গন্ধে বর্ণে ভুবন ভুলাতে। আত্ম-পরিচয় দেওয়ার ছলে এই কন্যা বলে- তার আঁচলে থাকে চাঁপা, হেনা, যুঁই, অতসী। তার বনের পুষ্প ডালায় থাকে পলাশ, বকুল, আমের নব-মুকুল।  তার উত্তরীয় ঝলমল করে বনরাজির নতুন পাতায়। সে হৃদয়-উদাস-করা সুমন্দ বাতাস বয়ে আনে মলয়-গিরি (চন্দনশোভিত পশ্চিমঘাট পর্বত) থেকে চন্দনের সৌরভ নিয়ে। রাত্রিতে ঝড়ে পড়ে জ্যোস্নার স্মর্ণরেণু মাখা আবির রাঙা হাসি।
     
  • রচনাকাল ও স্থান:   গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৭৭ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে (জুলাই-আগষ্ট ১৯৭০) সন্ধ্যামালতী প্রকাশিত হয়েছিল।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্‌ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ১৩৬৩। তাল: দাদ্‌রা। পৃষ্ঠা ৪১২]
    • সন্ধ্যামালতী দ্বিতীয় খণ্ড। নজরুল রচনাবলী সপ্তম খণ্ড [কার্তিক ১৪১৯, নভেম্বর ২০১২। ১২। পৃষ্ঠা ১৩২-১৩৩]
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, বসন্ত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।