আয় ওলো সই, খেলবো খেলা ফাগের ফাজিল পিচ্কিরিতে (ay olo soi, khelbo khela)
আয় ওলো সই, খেলবো খেলা ফাগের ফাজিল পিচ্কিরিতে।
আজ শ্যামে জোর করব ঘায়েল হোরির সুরে গিট্কিরিতে॥
বসন-ভূষণ ফেল্লো খুলে’,
দে দোল্ দে দোল্ দোদুল-দুলে,
কর্ লালে-লাল কালায় কালো আবির হাসির টিট্কিরিতে॥
- ভাবসন্ধান: এই গানটির সাথে 'আয় গোপিনী খেলবি হোরি ফাগের রাঙা পিচ্কারিতে'-গানটির বিশেষ মিল পাওয়া যায়। এই গানেও হোরি উৎসবের রঙ-খেলার জন্য রাধা তাঁর সখিদের আহ্বান করছেন সকৌতুকে। তাঁর বাসনা, তিনি তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে- দুষ্টু পিচকিরিতে এবং হোরি গানের সুরের গিটিকিরিতে (সুরালঙ্কার) কৃষ্ণের মনকে ঘায়েল করবেন।
অঙ্গের আভরণ খুলে ফেলে, হোরির ঝুলন-দোলনায় দোল দিতে আহ্বান করছেন রাধা। তাঁদের আবির রাঙা হাসির টিট্কারিতে যেন কৃষ্ণের মন ঘায়েল হয়। আর আবিরের রঙে রঙে কৃষ্ণের কালো রূপ লাল রঙে রঞ্জিত হয়ে যায়।
- রচনাকাল ও স্থান: 'গানটির রচনাকাল সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না। ১৩৩২ বঙ্গাব্দের আশ্বিন (অক্টোবর ১৯২৫) মাসে গানটি 'পূবের হাওয়া'-তে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৬ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণবসঙ্গীত। হোরির গান।