আয় সবে ভাই বোন (ay sobe bhai bon)
আয় সবে ভাই বোন
আয় সবে আয় শোন্
যাই চল্ পদধূলি শিরে লয়ে মা'র।
মা'র বড় কেহ নাই,
কেহ নাই, কেহ নাই
নত করি' বল সবে- 'মা আমার! মা আমার!'
- ভাবসন্ধান: শিশুতোষ এই গানটি নজরুলের রচিত 'মা' কবিতার শেষাংশ। এটি 'মাতৃস্ত্রোত্র' নামক রেকর্ড নাটকে ব্যবহার করা হয়েছিল।
এই গানে দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্য উপস্থাপিত হয়েছে শিশুদের অভিপ্রায়ে। তারা সবাইকে আহ্বান করছে মায়ের পদধূলি আশীর্বাদ রূপে মস্তকে ধারণ করার জন্য। তাদের কাছে মাতৃরূপিণী দেবীর চেয়ে আর বড় কেউ নেই। তাই সবাইকে নত শিরে ভক্তি ভরে 'মা আমার! মা আমার!' বলে ভক্তি ও আনুগত্য প্রকাশের জন্য আহ্বান করা হয়েছে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা'র শ্রাবণ ১৩২৮ (জুলাই-আগষ্ট ১৯২১) সংখ্যায় 'মা' শিরোনামে একটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪০) এইএচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে যখন রেকর্ড নাটক 'মাতৃস্ত্রোত্র' প্রকাশিত হয়, তখন এই কবিতার শেষাংশে সুরারোপ করে, তা গান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এই বিচারে বলা যায়, গানটির বাণী অংশ রচিত হয়েছিল ১৩২৮ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের শেষে কিম্বা শ্রাবণ মাসের শুরুতে। এই বিচারে এই নজরুল ইসলামের তখন বয়স ছিল ২২ বৎসর ১-২ মাস। অন্যদিকে সুরারোপে সময় ধরা যেতে পারে ১৯৩৭ ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ ১৩৪৪) মাসের দিকে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল, ৩৮ বৎসর ৬ মাস।
- পত্রিকা: বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা। শ্রাবণ ১৩২৮ (জুলাই-আগষ্ট ১৯২১)। শিরোনাম 'মা'।
- গ্রন্থ: ঝিঙেফুল [১৪ এপ্রিল ১৯২৬, বুধবার ১ বৈশাখ ১৩৩৩] কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। শিরোনাম 'মা'।
- রেকর্ড: এইচএমভি। ডিসেম্বর ১৯৩৩ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪০) 'মাতৃস্ত্রোত্র'। 'মা' কবিতার শেষাংশ। জিটি ৩৭। শিল্পী: শিশু মঙ্গল সমিতি। [শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ইদ্রিস আলী। [[নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি চুয়াল্লিশততম খণ্ড। স্বরলিপি নজরুল ইন্সটিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত। আষাঢ় ১৪২৪/জুন ২০১৮] পৃষ্ঠা: ৫৯-৬৪। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। শাক্ত। দুর্গা। বন্দনা।
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুর
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: সা