কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও (kothay gele pencha-mukhi)

পুরুষ   :  কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও
স্ত্রী      :  বলি, গাই-হারা বাছুরের মতন গোয়াল থেকে কে চ্যাঁচাও॥
পুরুষ   :  (বলি ও শাকচুন্নি, আহাহাহা)
            অমন শ্যাওড়া বৃক্ষ ফেলে, আমার ঘাড়ে কেন এলে গো, ও হো হো
স্ত্রী      :  (বলি ও কালিয়া পেরেত)
            তুমি উনুন-মুখো দেবতা যে তাই
            ছাই-পাঁশের নৈবিদ্যি পাও।
পুরুষ   :  (মরি অরি অরি অরি মরি, কি যে রূপের ছিরি, আহাহাহাহা)
            চন্দ্র-বদন ন্যাপা পোছা
            কুতকুতে চোখ নাকটি বোঁচা গো, ও হো হো
স্ত্রী      :  (বলি ও বেরসো কাট, বলি ও কালো হুলো)
            তুমি কাঁদলে চোখে কালি বোরোয় কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও
            তুমি কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও।
পুরুষ   :  বলি ও জুজুবুড়ি
স্ত্রী      :  বলি ও ঝাঁকাভুঁড়ি
পুরুষ   :  ও বাবা জুজু
স্ত্রী      :  ও বাবা ঝাঁকা
পুরুষ   :  আহা, চাম্‌চিকে ওই ডানা কাটা
স্ত্রী      :  তুমি যেন পূজোর পাঁঠা
পুরুষ   :  আহা, হার মেনে যায় হাঁড়ি চাঁছা প্রিয়ে যখন খ্যাচ-খ্যাচাও।
স্ত্রী      :  (আ-মরি মরি, কি যে বচন সুধা)
            পিঁপড়ে ধরবে ও প্রাণনাথ তুমি, শিগ্‌গির মুখে ফিনাল দাও॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪৫) মাসে, টুইন রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ৮ মাস।
  • রেকর্ড: টুইন। ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪৫)। এফটি ১২৭১০। শিরোনাম: দাম্পত্য কলহ। শিল্পী: রাধারাণী ও গোপাল ভট্টাচার্য

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।