কোন্‌ সে-সুদূর অশোক-কাননে বন্দিনী তুমি সীতা (kon she shudur oshok-kanone bondini tumi shita)

কোন্‌ সে-সুদূর অশোক-কাননে বন্দিনী তুমি সীতা।
আর কতকাল জ্বলিবে আমার বুকে বিরহের চিতা॥
                                    সীতা 
 সীতা!!
            বিরহে তোমার অরণ্যচারী
            কাঁদিব রঘুবীর বল্কলধারী,
ঝরা চামেলির অশ্রু ঝরায়ে ঝুরিছে বন-দুহিতা॥
                                    সীতা 
 সীতা!!
তোমার আমার এই অনন্ত অসীম বিরহ নিয়া,
কত আদি কবি কত রামায়ণ রচিবে, কে জানে প্রিয়া!
            বেদনার সুর-সাগর তীরে
            দয়িতা আমার এসো এসো ফিরে,
আবার আঁধার হৃদি-অযোধ্যা হইবে দীপান্বিতা॥
                                    সীতা 
 সীতা!!

  • ভাবসন্ধান:  'বন্দিনী সীতা' রেকর্ড নাটকে ব্যবহৃত এই গানে- রামায়ণ অবলম্বনে বন্দিনী সীতার জন্য রামের বিরহ-বিলাপ উপস্থাপিত হয়েছে। রাম-সীতার বনবাসের সময় লঙ্কার রাজা রাবণ, সীতাকে অপহরণ করে লঙ্কার অশোক কাননে বন্দী করে রাখেন। 'কোন্‌ সে-সুদূর অশোক-কাননে বন্দিনী তুমি সীতা' রামের এই  উদ্বিগ্নতা এবং রামের মনে প্রজ্জ্বলিত চিতাস্বরূপ। এই বিরহ-জ্বালার হাহাকার দিয়ে এই গানের শুরু হয়েছে। 

    যেন সীতাকে জানান দেওয়ার জন্যই, স্বগোক্তিতে সীতার উদ্দেশ্যে অরণ্যচারী বাকল পরিহিত রঘুবীর (রাম) কাঁদছেন। তাঁর ক্রন্দনের অংশভাগী হয়ে ক্রন্দসী হয়ে ঝরে পড়ছে বনের দুহিতা-রূপিণী চামেলি। রামের অন্তহীন অসীম এ দুঃখ নিয়ে আদি কবি বাল্মীকি কত বিশাল রামায়ণ রচনা করবেন তা তিনি জানেন না। রামের শুধু একান্ত কামনা, সীতা যেন ফিরে আসেন বিরহ-বেদনার সাগর পেরিয়ে। তাঁর আগমনে আঁধারে ঢাকা অযোধ্যা নগরী হয়ে উঠবে দীপান্বিতা- এই তা!র আকাঙ্ক্ষা।

     
  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৫) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করে। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ১ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
  • রেকর্ড:
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। রামের বিলাপ।
    • সুরাঙ্গ: স্বকীয়
      • তাল: দ্রুত দাদরা
      • গ্রহস্বর: ণর্র

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।