সাপুড়িয়া রে ─ বাজাও বাজাও সাপ-খেলানোর বাঁশি (sapuriya re bajao bajao)
গানের শুরুতে নীচের কথাগুলি সাপুড়েদের মন্ত্র-পড়ার ঢংয়ে আবৃত্তি করা হয়েছে :
"খা খা খা
তোর বক্ষিলারে খা
তারি দিব্যি ফণাতে তোর যে ঠাকুরের পা'।
বিষহরি শিবের আজ্ঞ্যে দোহাই মনসা,
আমায় যদি কামড়াস খাস জরৎ-কারুর হাড়
নাচ নাগিনী ফণা তুলে, নাচ রে হেলেদুলে
মারলে ছোবল বিষ-দাঁত তোর অমনি নেব তুলে
বাজ তুবরী বাজ ডমরু বাজ, নাচ রে নাগ-রাজ"॥
সাপুড়িয়া রে ─
বাজাও বাজাও সাপ-খেলানোর বাঁশি।
কালিদহে ঘোর উঠিল তরঙ্গ রে
কালনাগিনী নাচে বাহিরে আসি'॥
ফণি-মনসার কাঁটা-কুঞ্জতলে
গোখ্রা কেউটে এলো দলে দলে রে
সুর শুনে ছুটে এলো পাতাল-তলের
বিষধর বিষধরী রাশি রাশি॥
শন্-শন্-শন্-শন্ পুব হাওয়াতে
তোমার বাঁশি বাজে বাদলা-রাতে
মেঘের ডমরু বাজাও গুরু গুরু বাঁশির সাথে।
অঙ্গ জর জর বিষে
বাঁচাও বিষহরি এসে রে
এ কি বাঁশি বাজালো কালা, সর্বনাশী॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৩) এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৪ মাস।
- রেকর্ড: এইচএমভি [অক্টোবর ১৯৩৭ (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৪৪)। এন ৯৯৬০। শিল্পী সীতা দেবী। সুর: নজরুল ইসলাম। বিষয়- সর্পনৃত্য [শ্রবণ নমুনা]
- বেতার: জিপসিদের সঙ্গে (সঙ্গীতানুষ্ঠান): [২রা মার্চ ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ (শনিবার, ১৮ ফাল্গুন ১৩৪৬)। সন্ধ্যা ৬.৪৫-৮.৪০টা]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সুধীন দাশ । নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি তৃতীয় খণ্ড। প্রথম প্রকাশ, দ্বিতীয় মুদ্রণ [কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। বৈশাখ ১৪০২। এপ্রিল ১৯৯৬। ১৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৯১-৯৪] [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: নাট্যগীতি
- (সর্পনৃ্ত্য)
- সুরাঙ্গ: লোক-সঙ্গীত
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: সা।