খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে (khelichho e bishwo loye birat shishu anomone)

খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।
প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে

        
    শূন্যে মহা আকাশে
            মগ্ন লীলা বিলাসে,
ভাঙিছ গড়িছ নিতি ক্ষণে ক্ষণে

তারকা রবি শশী খেলনা তব, হে উদাসী,
পড়িয়া আছে রাঙা পায়ের কাছে রাশি রাশি।
            নিত্য তুমি, হে উদার
            সুখে দুখে অবিকার;
হাসিছ খেলিছ তুমি আপন মনে

  • ভাবার্থ: শিশু যেমন তার খেলনা নিয়ে আপন খেয়ালে নানা রকম ভাঙা-গড়ার খেলা খেলে, জগৎস্রষ্টা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে তেমনি আপন খেলায় মগ্ন। এই বিরাট শিশু সঙ্গীহীন, তাই তার খেলা চলে নির্জনে।

    আপন আনন্দের এই খেলা বিরমাহীনভাবে চলেছে মহাবিশ্বের অনন্ত আকাশ জুড়ে। সেখানে মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের সৃষ্টি ও লয়, সুশৃঙ্খল গতিপথ সবই তাঁর খেলার অংশ। তার পরম যত্নের সৃষ্টিই যেন পড়ে থাকে চরম অবহেলায় তাঁর পায়ের কাছে। বিশ্বরাজ তাঁর আপন খেলায় নির্বিকার থাকেন। জাগতিক কোনো সুখ-দুঃখ তাঁকে স্পর্শ করে না। সৃষ্টি এবং ধ্বংসের ভিতর দিয়ে তাঁর লীলা এবং এর ভিতর দিয়ে তিনি বিরাজ করেন সদানন্দ রূপে।

     
  • ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের আগষ্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৪২) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ২ মাস।
     
  • রেকর্ড: এইচএমভি  [আগষ্ট ১৯৩৫ (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৪২)। নম্বর ৭৩৯৩ শিল্পী: মৃণালকান্তি ঘোষ] [শ্রবণ নমুনা]
     
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: আহসান মুর্শেদ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, সাতাশ খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। কার্তিক, ১৪১২/অক্টোবর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ] ১৪ সংখ্যক গান [নমুনা]
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (সাধারণ)
    • সুরাঙ্গ: ভজন
    • রাগ: ভৈরবী
    • তাল: কাহারবা
    • গ্রহস্বর: সা

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।