আসল যখন ফুলের ফাগুন (aslo jokhon fuler fagun)

 রাগ: দুর্গা-মান্দ। তাল: কাওয়ালি
আসল যখন ফুলের ফাগুন, গুল্-বাগে ফুল চায় বিদায়।
এমন দিনে বন্ধু কেন বন্ধুজনে ছেড়ে যায়॥
মালঞ্চে আজ ভোল না হতে বিরহী বুলবুল কাঁদে,
না ফুটিতে দলগুলি তার ঝরল গোলাব হিম-হাওয়ায়॥
পুরানো গুল-বাগ্ এ ধরা, মানুষ তাহে তাজা ফুল,
ছিঁড়ে নিঠুর ফুল-মালী আয়ুর শাখা হতে তায়॥
এই ধুলিতে হল ধূলি সোনার অঙ্গ বে-শুমার,
বাদশা অনেক নূতন বধূ ঝরল জীবন-ভোরবেলায়॥
এ দুনিয়ার রাঙা কুসুম সাঁজ না হতেই যায় ঝ’রে,
হাজার আফ্সোস, নূতন দেহের দেউল ছেড়ে প্রাণ পালায়॥
  সামলে চরণ ফেলো পথিক, পায়ের নীচে মরা ফুল
আছে মিশে এই সে ধরার গোরস্থান এই ধূলায়॥
হল সময় – লোভের ক্ষুধা মোহন মায়া ছাড় হাফিজ,
বিদায় নে তোর ঘরের কাছে দূরের বঁধু ডাকছে আয়॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত 'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এই  সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩১ বৎসর ৩ মাস। ওমর খেয়ামের দুটি রুবাই- নিয়ে এই গানটি তৈরি করা হয়েছিল।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-গীতিকা
      • প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০। দীওয়ান-ই হাফিজ গীতি। ৫। দুর্গা-মান্দ-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা ১৩ ]
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] নজরুল গীতিকা। দীওয়ান-ই হাফিজ গীতি। ১৩। দুর্গা-মান্দ-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা: ১৭৮] [শ্রবণ নমুনা]
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: মরমী
    • সুরাঙ্গ: গজল

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।