গুঞ্জা-মঞ্জরি-মালা (gunja-monjori-mala)
গুঞ্জা-মঞ্জরি-মালা।
অঞ্চলে শুকায় অভিমানে কালা॥
সহিতে পারি না আর তোমার বিরহ
ধর গিরিধারী মোর বেদনা অসহ,
ভোলাও নীরদ-ঘন-শ্যাম-কৃষ্ণ! তৃষ্ণার জ্বালা॥
- ভাবসন্ধান: এই গানটিতে বিরহিণী রাধা বা কোনো এক কৃষ্ণবিরহিণীর প্রিয়তম শ্রীকৃষ্ণের প্রতি তীব্র অভিমান, আকুলতা ও অসহনীয় বিরহ-বেদনা প্রকাশ পেয়েছে।
এই অভিমানিনী তাঁর 'গুঞ্জা-মঞ্জরি-মালা' গেঁথেছিল কৃষ্ণের জন্য, কৃষ্ণের সান্নিধ্য না পেয়ে, এই মালাও যেন অভিমানে শুকিয়ে গেছে অভিমানিনীর প্রেমের মতো।
এই অভিমানিনী অসহনীয় বিরহবেদনায় কাতর, তাই গিরিধারী কৃষ্ণের কাছে তাঁর সকাতর অনুরোধ, নীরদ-ঘন-শ্যাম-কৃষ্ণ যেন- তাঁর অসহ বেদনাকে ভুলিয়ে, প্রেমের বারি সিঞ্চনে প্রেমের তৃষ্ণার জ্বালাকে ভুলিয়ে দেন।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুলাই [সোমবার ২১ আষাঢ় ১৩৪৯] এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির সাথে কবির চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তিপত্রে এই গানটির উল্লেখ ছিল। এই সময় নজরুলেএর বয়স ছিল ৪৩ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১২৬০। পৃষ্ঠা: ৩৮৩]
- রেকর্ড:
- ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুলাই [সোমবার ২১ আষাঢ় ১৩৪৯], নজরুলের সাথে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি হয়।
- এইচএমভি [ জুলাই ১৯৪২ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৯), শিল্পী: দীপালি নাগ। রেকর্ড প্রকাশিত হয় নি]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। অভিমান।