চাঁদের আলো সম, রূপসী ছিলাম, তোমাদের মত আমি গো (chander alo shomo, ruposhi chhilam)

চাঁদের আলো সম, রূপসী ছিলাম, তোমাদের মত আমি গো।
            পিওর সোপ ছাড়া হতো না গা ধোওয়া,
            রসগোল্লা ছাড়া হতো না জল খাওয়া,
সন্ধ্যাবেলায় খেতাম ক্ষীর নাড়ু মোওয়া, এখন পোড়া মুড়ি মেলা দায় গো॥
            নিত্যি পার্কে যেতাম , চড়ে ঘোড়-গাড়ি।
            অঙ্গের বসন ছিল বেনারসী শাড়ি,
শত ব্রাণ্ডির বোতল যেত গড়াগড়ি, এখন গ্যেঁজা তাড়ি মেলা দায় গো॥
            পাশ করা ডাক্তার ছিল মাইনে করা।
            দিনে দু'বার এসে দেখে যেত তারা,
কত ঔষধ ছিল শিশি বোতলে ভরা। এখন একশিশি পাঁচন পাওয়া দায় গো॥
            নাম সুনে বাঘে-গরুতে ঘাটে খেত জল,
            পদ ভরে মেদিনী করিত টলমল।
এখন ভিক্ষার ঝুলি করেছি সম্বল, এই মোর কপালে ছিল গো॥
            স্বামীর যত কষ্ট আমারি কারণ,
            আনাচে কানাচে কতজনা করিত ভ্রমণ,
এই বন্ধুজনের কত করেছি যতন, এখন পায়ে ঠেলে দিয়ে গেল গো॥
            ভ্রমর কবি নজরুল এসলাম,
   (বলে) স্বামীর অভিশাপে এই পরিণাম
হয়েছে এখন কঠিন ব্যারাম, স্বামীকে কোথা খুঁজে পাই গো॥

  • রচনাকাল: ১৯১০-১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ (১৩১৭-১৩১৯ বঙ্গাব্দ)। বরধ্মান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে, নজরুলের ১১ থেকে ১৩ বৎসর বয়সের রচনা।
  • গ্রন্থ:
    • দুখুমিয়ার লেটো গান। 'বাবলুর মা [স্বামীর অভিশাপ]। পালা গান। দ্বিতীয় দৃশ্য। তৃতীয় দৃশ্যান্তর। প্রথম গান। রাণীর গান। সংকলক ও সম্পাদক: মুহম্মদ আয়ুব হোসেন। বিশ্বকোষ পরিষদ। নজরুল ফাউন্ডেশন। ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪১০, ৬ ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ২৩৭।
    • নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্‌ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০০৩। লেটোগান। গান সংখ্যা ২৭৯১]
       
  • বিষয়াঙ্গ: লোককাহিনি অবলম্বনে রচিত 'বাবলুর মা [স্বামীর অভিশাপ] পালার ষষ্ঠ গান। ভণিতা 'ভ্রমর কবি'।

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।