ছেড়ে দাও মোরে আর হাত ধরিও না (chhere dao more ar haat dhoriyo na)
ছেড়ে দাও মোরে আর হাত ধরিও না
প্রেম যারে দিতে পারিলে না, তারে আর কৃপা করিও না॥
আমি করুণা চাহিনি কভু কারো কাছে
বহু লোক পাবে, তব কৃপা যারা যাচে
যারে হৃদয়ে দিলে না ঠাঁই তার তরে কাঁদিও না॥
ভুল করেছিনু যেথা শুধু বিষ অসুন্দরের ভিড়,
সেই পৃথিবীতে কেঁদেছি খুঁজিয়া প্রেম-যমুনার তীর।
যার তরণী ভাসিল বিরহের পারাবারে
পিছু ডেকে আর ফিরায়ো না তুমি তারে
আমারে পাষাণ-বিগ্রহ ক'রে আর মালা পরিও না॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে মে (মঙ্গলবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৮) রাত ৮.০০টায় হারামণি বিংশতম অনুষ্ঠানে হর্ষ কানাড়া রাগে গানটি প্রথম প্রচারিত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪২ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২) -এর ১৪৮ সংখ্যক গান। রাগ: হর্ষ কানাড়া। তাল: ত্রিতাল/দাদ্রা। পৃষ্ঠা: ৪৭।
- নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, তেত্রিশতম খণ্ড, (নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪১৭। জুন ২০১০) -এর ২৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৮০-৮২।
- নজরুল স্বরলিপি, পঞ্চদশ খণ্ড, (হরফ প্রকাশনী, পৌষ ১৪১৩। জানুয়ারি ২০০৭) -এর ১০১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১৭০-১৭২।
- নজরুল গীতি, অখণ্ড (আব্দুল আজীজ আল-আমান, সম্পাদিত)। [হরফ প্রকাশনী, মাঘ ১৪১০। জানুয়ারি ২০০৪]। কাব্য-গীতি। গান-৩০২। পৃষ্ঠা: ৭৯-৮০।
- বেতার:
- হারামণি। বিংশতম অনুষ্ঠান। রাগ হর্ষ কানাড়া। কলকাতা বেতার কেন্দ্র। ২৭শে মে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ (মঙ্গলবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৮)। তৃতীয় অধিবেশন। রাত ৮.০০-৮.১৯ মিনিট] শিল্পী: নজরুল ইসলাম। সুর: নজরুল ইসলাম
[সূত্র: বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ ১০ম সংখ্যা। পৃষ্ঠা: ৫৮২।]
- হারামণি। বিংশতম অনুষ্ঠান। রাগ হর্ষ কানাড়া। কলকাতা বেতার কেন্দ্র। ২৭শে মে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ (মঙ্গলবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৮)। তৃতীয় অধিবেশন। রাত ৮.০০-৮.১৯ মিনিট] শিল্পী: নজরুল ইসলাম। সুর: নজরুল ইসলাম
- রেকর্ড: এইচএমভি [সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৫৬) এন. ৩১০৭৭.। শিল্পী সত্য চৌধুরী। সুর নিতাই ঘটক। [শ্রবণ
- সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম। হারামণিতে গানটি পরিবেশন করেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৫৬) এইচএমভি সত্য চৌধুরীর কণ্ঠে গানটির প্রকাশ করে। রেকর্ড প্রকাশের সময় নিতাই ঘটক এই গানের সুর ও কথার কিছুটা পরিবর্তন করেছিলেন। বর্তমানে নিতাই ঘটকের পরবর্তিত সুরই প্রচলিত।
- স্বরলিপিকার:
- এস. এম. আহসান মুর্শেদ। [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, তেত্রিশতম খণ্ড, (নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪১৭। জুন ২০১০) -এর ২৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৮০-৮২।] [নমুনা]
- দীলিপ চট্টোপাধ্যায়। [নজরুল স্বরলিপি, পঞ্চদশ খণ্ড, (হরফ প্রকাশনী, পৌষ ১৪১৩। জানুয়ারি ২০০৭) -এর ১০১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১৭০-১৭২।]
- বিষয়াঙ্গ: প্রেম (বিরহ)
- সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ
- রাগ: হর্ষ কানাড়া। [এই রাগটির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি]
- তাল:
- ত্রিতাল/দাদরা। নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ।
- ত্রিতাল। নজরুলগীতি হরফ প্রকাশনী।
- দাদরা। [নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, তেত্রিশতম খণ্ড, (নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪১৭। জুন ২০১০) -এর ২৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৮০-৮২।]
- দাদরা। [নজরুল স্বরলিপি, পঞ্চদশ খণ্ড, (হরফ প্রকাশনী, পৌষ ১৪১৩। জানুয়ারি ২০০৭) -এর ১০১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১৭০-১৭২।]
উল্লেখ্য, হারামণি (লুপ্ত রাগভিত্তিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়েছিল খেয়াল গানের আদলে)। এই বিচারে গানটির তাল 'ত্রিতাল' হওয়াটাই স্বাভবিক ছিল। সম্ভবত রেকর্ডের সময় নিতাই ঘটক দাদরা তালে গানটির সুর বেঁধেছিলেন।
- গ্রহস্বর: পর্সা।