জয়-জগৎ-জননী, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর বন্দিতা (joy-jogot-jononi, brohmma-bishnu-moheshwor bondita)

জয়-জগৎ-জননী, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর বন্দিতা,
                        জয় মা-ত্রিলোক তারিণী।
জয় আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী নন্দন-লোক-নন্দিতা
                               জয় দুর্গতিহারিণী॥
তোমাতে সবর্জীবের বসতি, সবার্শ্রয় তুমি মা,
জয় হয় সব বন্ধন পাপ-তাপ তব পদ চুমি' মা।
তুমি শাশ্বতী, সৃষ্টি-স্থিতি, তুমি মা প্রলয়কারিণী॥
তুমি মা শ্রদ্ধা, প্রেম, ভক্তি তুমি কল্যাণ সিদ্ধি
ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ তুমি তিন-জন ঋদ্ধি,
জয় বরাভয়া ত্রিগুণময় দশ প্রহরণ-ধারিণী॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় না। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে (ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৩ বঙ্গাব্দ) গ্রামোফোন রেকর্ডের জন্য রচনা করেছিলেন 'বিদ্যাপতি' নামক পালা-নাটিকা। এই নাটকের পাণ্ডুলিপিতে গানটি থাকলেও শেষ পর্যন্ত রেকর্ডে স্থান পায় নি। এই সময় নজরুলে বয়স ছিল ৩৭ বৎসর ৩ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১৪০৬। নাটক: 'বিদ্যাপতি' (স্তব)। পৃষ্ঠা: ৪২৫]
    • বিদ্যাপতি। পালানাটিকা। প্রথম খণ্ড। বিদ্যাপতির দুর্গাস্তব। [নজরুল রচনাবলী ষষ্ঠ খণ্ড। বাংলা একাডেমী। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। পৃষ্ঠা: ৩০৯]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।