জল ফেলে জল আনতে গেলি (jol fele jol ante geli)

জল ফেলে জল আনতে গেলি, ওলো কুলের রাধা।
ছল করে তুই নামলি ঘাটে ভাঙতে কুলের বাধা॥
কদমতলায় রাখাল চেলে বাজায় বসে বাঁশি,
তাই শুনে তুই আসলি ছুটে ওলো সর্বনাশী।
ঘরের বাঁধন সইল না তোর, রইলি না তাই বাঁধা॥
জটিলা শাশুড়ি রে তোর কুটিলা ননদী,
শাস্তি তোরেদেবে কঠিন, জানতে পারে যদি।
নন্দের নন্দন ওকালা, মানে নাকো মানা,
কত বধূর কুল ভাঙালো নেই কো যে অজানা।
ঐ বাঁশির সুরে যাদু আছে, শেষে সার হবে তোর কাঁদা॥

  • রচনাকাল ও স্থান:   গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু যায় নি। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের  ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃ্হস্পতিবার ১৪ ফাল্গুন ১৩৪২), জগৎঘটকের রচিত জীবনস্রোত গীতি-আলেখ্য, কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়। এই নাটকে এ গানটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৭ মাস।
     
  • বেতার:  জীবনস্রোত [গীতি-আলেখ্য।  রচনা জগৎঘটক। কলকাতা বেতার কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬। ১৪ ফাল্গুন ১৩৪২। সান্ধ্য অনুষ্ঠান: ৮.৩০-৯.১৪ মিনিট
    • সূত্র:
      • বেতার জগৎ। সপ্তম বর্ষ, ৪র্থ সংখ্যা। ১৬ ফেব্রুয়ারি. ১৯৩৬। পৃষ্ঠা ১৭২
      • The Inidian Listener font size.4.Vol I No 4, Page 232

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।