জাগো বনলক্ষ্মী! জোছনা বিগলিত চৈতালি নিশীথে (jago bonolokkhi! jochhona bigolito choitali nishithe)

জাগো বনলক্ষ্মী! জোছনা বিগলিত চৈতালি নিশীথে।
রাঙাও দশদিশি লজ্জা-অরুণ রূপ-সজ্জায় বনশ্রীতে॥
        তব আলোছায়ার ডুরে শাড়ির আঁচল
        লুটাক বকুল তলে সুখ-বিহ্বল,
তব লতা কবরী হের পুষ্প ভারে হ'ল 

        অবনমিতা অগ্নি অসম্বৃতে॥
পর গিরি-ঝর্ণার শতনরী হার হে বনলক্ষ্মী॥
বিহর-শীর্ণা দেহে (নব যৌবনের) জাগুক জোয়ার হে বনলক্ষ্মী!
        ঝংকৃত হোক বনভূমি নিঝ্‌ঝুম
        পুষ্পিত মাধবীর পর কঙ্কণ,
আলতা পর কলি পলাশ রঙ্গন 
 ভ্রমর-গুঞ্জন-নূপুর-গীতে॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।  ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের ২০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার ২ কার্তিক ১৩৪৬), ' মধুমালা' নাটক মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকে এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ৪ মাস।
  • মঞ্চনাটক: মধুমালা (নাটক)। নাট্যভারতী রঙ্গমঞ্চ [২০ অক্টোবর ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ (শনিবার ৩ কার্তিক ১৩৪৬)। প্রথম অঙ্ক। বন-বালিকাদের গান।
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্‌ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান ১৪১৪]
    • নজরুল রচনাবলী জন্মশতবর্ষ সংস্করণ সপ্তম খণ্ড (কার্তিক ১৪১৯/নভেম্বর ২০১২)। প্রথম অঙ্ক। বন-বালিকাদের গান। পৃষ্ঠা: ২৭৪

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।