ঝড়ের বাঁশিতে কে গেলে ডেকে হে তরুণ অশান্ত (jhorer banshite ke gele deke)
ঝড়ের বাঁশিতে কে গেলে ডেকে হে তরুণ অশান্ত।
গুরু গুরু বাজিল মেঘ-মৃদঙ্গ দুলিয়া উঠিল বন-বনান্ত॥
সাগর তরঙ্গ মাঝে
তব মণি-মঞ্জির বাজে,
অম্বর ব্যাপিয়া দোলে ধূলি-গৈরিক তব বসন-প্রান্ত॥
শাওন-ঘন তব লাবনি
বিন্দু বিন্দু ঝরি' ভরিল অবনি,
কৃষ্ণ-চূড়ার রাঙা অঞ্জলি ঝরে চঞ্চল তব চরণে হে কান্ত॥
- ভাবার্থ: এই গানে ঝড়ের ভয়ঙ্কর-সৌন্দর্য উপস্থাপন করা হয়েছে অশান্ত তরুণের রূপকতায়। এই অশান্ত তরুণ যেন ঝড়ের বাঁশিতে সুর বাজিয়ে যায়। সে সুরের ছন্দের সঙ্গতের জন্য যেন গুরু গুরু ধ্বনিতে বেজে ওঠে মেঘ-মৃদঙ্গ। এই সুর ও ছন্দের দোলে দুলে ওঠে বন-বনান্ত. তরঙ্গায়িত হয়ে ওঠে সাগর। তার মণিবন্ধের বাজে অশন্ত নূপুর-ধ্বনি, আর আকাশ আচ্ছন্ন করে দোলে তার ধূলি-গৈরিক উত্তরীয়ের অঞ্চল।
গানটির শেষে রুক্ষ, দুরন্ত ঝড়ের মাঝে স্নিগ্ধ রূপের সন্ধান করেছে। তার অশান্ত তরুণের অঙ্গে কবি রূপকল্পে দেখছেন ঝড়-বৃষ্টির বিন্দু ভূভাগকে সিক্তকারী শ্রাবণ মেঘের মত লাবণ্য। যেন বৃষ্টিধারা কৃষ্ণচূড়ার রাঙা-অঞ্চলি হয়ে ঝরে পড়ে তার চঞ্চল চরণে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১৪২২। পৃষ্ঠা: ৪২৯]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, ঝড়