ঝর ঝর বারি ঝরে অম্বর ব্যাপিয়া (jhor jhor bari jhore ombor byapiya)

ঝর ঝর বারি ঝরে অম্বর ব্যাপিয়া
এসো এসো মেঘমালা পিয়া পিয়া॥
দূরে থেকো না এই শ্রাবণ নিশীথে
কাঁদে তব তরে পিয়াসী হিয়া॥
বিজলি খুঁজে ফেরে সুদূর আকাশে
হৃদয়ে কাঁদে প্রেম পাপিয়া পিয়া॥

  • ভাবার্থ: এই গানে কবি বর্ষাকে উপস্থাপন করেছেন প্রেমিকের অবয়বে। এই গানটিতে রয়েছে প্রকৃতি ও মানব মনের শৃঙ্গার রসের বিরহ ভাব।

    কবি কল্পনায় মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থেকে ঝরে পড়া অবিরাম বর্ষণের মাঝে আসঙ্গ লিপ্সায় বর্ষা-প্রকৃতি যেন মেঘমালাকে প্রিয়ারূপে আহবান করে। তারই অনুষঙ্গী হয়ে, কবি তাঁর প্রেমিকার সঙ্গলাভের আশায় সকাতর অনুরোধ করেন, যেন তাঁর প্রিয়া দূরে না থেকে- শ্রাবণঘন রাতের সঙ্গিনী রূপে ধরা দেয়। আকাশ জুড়ে বিজলী যেমন, প্রেয়সীর সঙ্গলাভের আশায় বিদ্যুৎ-চমকে মেঘে মেঘে সন্ধান করে। কবির হৃদয়ও তেমনি তার প্রেয়সীকে না পাওয়ার বেদনায় নিভৃত গৃহকোণে একাকী অশ্রুমোচন করে, তাঁর ব্যাকুল প্রেম পাপিয়া পিয়া পিয়া বলে আকুলিত হয়।

     
  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুলাই (সোমবার, ২১ আষাঢ় ১৩৪৯), এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানির সাথে নজরুলের একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তিপত্রে গানটির উল্লেখ ছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স  ছিল ৪৩ বৎসর ১ মাস ।
     
  • রেকর্ড: এইচএমভি। আগষ্ট ১৯৪২ (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৪৯)। এন ২৭৩০১। শিল্পী: সত্যেন ঘোষাল [শ্রবণ নমুনা]
     
  • স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:  সুধীন দাশ নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি তৃতীয় খণ্ড। প্রথম প্রকাশ, দ্বিতীয় মুদ্রণ [নজরুল ইন্সটিটিউট। বৈশাখ ১৪০২। এপ্রিল ১৯৯৬। ১৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৭০-৭৩] [নমুনা]
     
  • পর্যায়:

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।