ঝাঁপিয়া অঞ্চলে কেন বিধুবদন অবনত কাছে (jhanpiya onchole keno bidhubodon obonoto kachhe)

ঝাঁপিয়া অঞ্চলে কেন বিধুবদন অবনত কাছে নয়ান।
অভিমান পরিহর হরি-হৃদি বিহারিণী প্রেম দিয়া জুড়াও এ প্রাণ।
তুয়া বিনা নয়নে অন্যে না হেরি
একই রাধা আছে ত্রিভুবন ঘেরি’
(আমি রাধা ছাড়া জানি’ না১
অনন্ত বিশ্বে রাধারই রূপধারা,
রাধা ছাড়া দেখি না)
ভৃঙ্গার ভরি’ তুমি শৃঙ্গার রস
করাও পান, তাই হই যে অবশ॥

রাধা হয়ে মধু দিলে মাধব হই,
তুমি ধারা হয়ে নামিলে সৃষ্টিতে রই
রাধা, সকলি তোমার খেলা
তবে কেন কর অভিমান, কেন কর হেলঅ।
প্রতি দেহ-বিম্বে তোরি
পদতলে হর হয়ে রহি তাই ছবি।
হরিরত হর-জ্ঞান মহামায়া হরিলী
(এ যে) তোমারই ইচ্ছা, আমি নিজে নিজে রূপ ধরিণী।
ভোল মানের খেলা
দূরে থেকোনা, দাও চরণ ভেলা
আমি তরে’ যাই, তরে’ যাই
রাধা-প্রেম-যমুনায় ডুবিয়া মরে’ যাই॥
পাঠান্তর : রেকর্ডের জন্য কবি এই গানটির বহু অংশ বর্জন করেন। বর্জিত অংশগুলো এই :
গলে দিয়া পীতধড়া গো, পদতলে দিয়া শিখী-চূড়া গো
পদযুগ ধরিয়া চাহি ক্ষমা, ক্ষম অপরাধ প্রিয়তমা।
হরি-মনোরমা ক্ষমা কর গো॥
তব প্রেমে অবগাহন করি সব দাহন চিরতরে জুড়াব
কল্প-কদম-তরু-তলে চিরদিন তোমার প্রেম-কণা কেশর কুড়াব॥

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ই নভেম্বর (শনিবার, ২৩ কার্তিক ১৩৪৭), কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে অভিমানিনী প্রথম প্রচারিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ৫ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১৯০২। পৃষ্ঠা: ৫৭৩-৫৭৪]
  • বেতার:
    • অভিমানিনী (গীতিচিত্র)। কলকাতা বেতারকেন্দ্র-ক, তৃতীয় অধিবেশন। ৯ নভেম্বর ১৯৪০ (শনিবার, ২৩ কার্তিক ১৩৪৭)। রাত্রি: ৮-৮.৪০টা]শিল্পী চিত্তরায়।
          সূত্র: [The Indian-listener 1940, Vol V, No 21. page 1665]
    • অভিমানিনী (গীতিচিত্র)। পুনঃপ্রচার। ২৮ জুন ১৯৪১৯৪১ (শনিবার ১৪ আষাঢ়। ১৩৪৮)। রাত ৮টা
  • রেকর্ড:
    • এইচএমভি [জুলাই ১৯৪১ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৮)। এন ২৭১৫২। শিল্পী: মৃণালকান্তি ঘোষ। সুর চিত্তরায়। শ্রেণি: কীর্তন]
      রেকর্ডে এই গানের বেশকিছু অংশ বর্জন করা হয়েছে।

       
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:  সেলিনা হোসেন [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, তেতাল্লিশতম খণ্ড, আষাঢ় ১৪২৫] গান সংখ্যা ৬। পৃষ্ঠা: ৩৫-৩৭  [নমুনা]
     
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [সনাতন হিন্দু ধর্ম, বৈষ্ণব]
    • সুরাঙ্গ: কীর্তন
      • তাল: তাল ফেরতা [দশকোশী (মধ্যম)-কাহারবা]
        স্বরলিপিতে দশকোশীর ছন্দ-বিভাজনে ত্রুটি রয়েছে।
      • গ্রহস্বর:  স

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।