ঝিল্লি-নূপুর বাজে (jhilli-nupur baje)
ঝিল্লি-নূপুর বাজে।
বিভাবরী নাচে বন-শবরী সাজে॥
তিমির কুন্তলে তারার ফুল দোলে
চাঁদের চন্দন-ফোঁটা ললাট-মাঝে॥
দোলে নদী-জল অঞ্চল ধীরে
বন-বেণী দোলে চঞ্চল-সমীরে।
জাগে দুরন্ত নিশীথ-বসন্ত
ঘুমন্ত নববধূ রেঙে ওঠে লাজে॥
- ভাবার্থ: এই গানের রাত্রির ছন্দময় সৌন্দর্যকে নানা রূপকল্পে উপস্থাপন করা হয়েছে। রাত্রিরূপী নৃত্যশীলার অনুষঙ্গ হিসেবে প্রাকৃতিক নানা উপকরণ এসেছে রাত্রির পূর্ণ রূপ প্রকাশের সূত্রে। গানের শেষে মানব প্রেমের আসঙ্গলিপ্সাও এসেছেএমনি একটি অনুসঙ্গ হিসেবে।
কবির কাছে বনচারী শবরীর (আদিবাসী বিশেষ) মতো আর্ণ্যক সাজে, ছন্দময় রাত্রি যেন অরণ্যকন্যার মতো নাচে। তার পায়ে বাজে ঝিঁঝির শব্দ-নূপুর। তার কালো কেশরাশিতে দোলে তারার ফুল, কপালের মাঝে শোভা পায় চন্দনফোঁটার মতো চাঁদ। এই নৃত্যশীলা রাত্রির ছন্দে নদীর জল-অঞ্চল, বন যেন বেণী হয়ে দোলে চঞ্চল বাতাসে। এরই মাঝে দুরন্ত যৌবন জেগে ওঠে নিশি-বসন্ত হয়ে। তাঁর ছোঁয়ায় ঘুমন্ত নববধূ জেগে ওঠে লজ্জারুণ অনুরাগে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১৪২৩। পৃষ্ঠা: ৪২৯ ]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি, রাত্রি।