একডালি ফুলে ওরে সাজাব কেমন ক'রে। (akdali fule ore)

  একডালি ফুলে ওরে সাজাব কেমন ক'রে।
  মেঘে মেঘে এলোচুলে আকাশ গিয়াছে ভ'রে॥
  কেন দিলে বনমালী এইটুকু বন-ডালি,
  সাজাতে কি না সাজাতে কুসুম হইল খালি।
  ছড়ায়েছে ফুলদল অভিমানে ডালি ধ'রে॥
  কেতকী ভাদর-বধূ ঘোমটা টানিয়া কোণে
  লুকায়েছে ফণি-ঘেরা গোপন কাঁটার বনে।
  কামিনী ফুল মানা মানে না ছুঁতে পড়েছে ঝ'রে॥
  গন্ধ-মাতাল চাঁপা দুলিছে নেশার ঝোঁকে,
  নিলাজী টগর-বালা চাহিয়া ডাগর চোখে,
  দেখিয়া ঝরার আগে বকুল গিয়াছে ম'রে॥

  • পাঠভেদ:
    • নিলাজী টগর-বালা চাহিয়া ডাগর চোখে [নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইন্সটিটিউট। ফেব্রুয়ারি ২০১২)]
      নিলাজি টগর-বালা চাহিয়া ডাগর চোখে [নজরুল-গীতিকা (২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ)]

       
  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না।  ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর (১৬ই পৌষ ১৩৩৬), নাট্যকার মন্মথ রায় রচিত 'মহুয়া' মঞ্চস্থ হয়। নাটকটিতে এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। উল্লেখ্য, মন্মথ রায় নাটকটি ৪-১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে রচনা করেছিলেন। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল- ৩০ বৎসর ৭ মাস।
     
  • মঞ্চ: মহুয়া । নাট্যকার: মন্মথ রায়।  দ্বিতীয় অঙ্ক। মহুয়ার গান। ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কলকাতার মনোমোহন থিয়েটারে 'মহুয়া' নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল।
     
  • বেতার: 'মহুয়া'। মন্মথ রায় রচিত সঙ্গীতবহুল নাটক।
    • প্রথম প্রচার। কলকাতা বেতার কেন্দ্র। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে (শুক্রবার ১ পৌষ ১৩৩৯),  সান্ধ্য অনুষ্ঠান। ৭টা থেকে ১০টা।
      • সূত্র: বেতারজগৎ। ৪র্থ বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যা। ১৯৩২। পৃষ্ঠা: ২২৮]
    • দ্বিতীয় প্রচার: কলকাতা বেতার কেন্দ্র। শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০। ২৬ মাঘ ১৩৪৬। সান্ধ্য অনুষ্ঠান। ৬.৪৫-৮.৩৯ মিনিট।
      • সূত্র: বেতার জগৎ-এর  [১১শ বর্ষ, ৩য় সংখ্যা। পৃষ্ঠা: ১৫০]
         
  •  গ্রন্থ:
    • মহুয়া। নাট্যকার: মন্মথ রায়। দ্বিতীয় অঙ্ক। বেদেনীদের গান।  ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে কলকাতার মনোমোহন থিয়েটারে 'মহুয়া' নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছিল।
       
    • নজরুল-গীতিকা
      • প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০। ঠুংরী । তিলক-কামোদ-দেশ-কাওয়ালী। পৃষ্ঠা ৪৬]
      • নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭]  নজরুল গীতিকা। ঠুংরী। ৩৪। তিলক-কামোদ-দেশ-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ১৯৬]
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইন্সটিটিউট। ফেব্রুয়ারি ২০১২)। ১৮৩৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৫৪৮।
  • সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম
     
  • পর্যায়:

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।