তুই পাষাণ গিরি মেয়ে হ’লি (tui pashan giri meye holi)
তুই পাষাণ গিরি মেয়ে হ’লি পাষাণ ভালোবাসিস্ ব’লে।
মা গ’রবে কি তোর পাষাণ-হৃদয় তপ্ত আমার নয়ন-জলে॥
তুই বইয়ে নদী পিতার চোখে
লুকিয়ে বেড়াস লোকে লোকে
মহেশ্বরও পায় না তোকে প’ড়ে মা তোর চরণতলে॥
কোটি ভক্ত যোগী ঋষি ঠাঁই পেল না তোর চরণে,
তাই ব্যথায়-রাঙা তা’দের হৃদয় জবা হ’য়ে ফোটে বনে।
আমি শুনেছি মা ভক্তি ভরে
মা ব’লে ডাকে তোরে
(তুই) অমনি গ’লে অশ্রু-লোরে ঠাঁই দিস তোর অভয় কোলে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪৪) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৮ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ (নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি ২০১২)। ১৯১০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৫৭৬।
- রেকর্ড: এইচএমভি [ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪৪)। এন ১৭০৪১। শিল্পী: শৈলেন গাঙ্গুলী। সুর: কমল দাশগুপ্ত]