তুমি অনেক দিলে খোদা, দিলে অশেষ নিয়ামত (tumi onek dile khoda, dile oshesh niyamot)
তুমি অনেক দিলে খোদা, দিলে অশেষ নিয়ামত —
আমি লোভী, তাইতো আমার মেটে না হসরত॥
কেবলি পাপ করি আমি — মাফ করিতে তাই, হে স্বামী,
দয়া করে শ্রেষ্ঠ নবীর করিল উম্মত।
তুমি নানান ছলে করছ পূরণ ক্ষতির খেসারত॥
মায়ের বুকে স্তন্য দিলে, পিতার দিলে স্নেহ;
মাঠে শস্য ফসল দিলে আরাম লাগি গেহ।
ঈদের চাঁদের রঙ মশালে রঙিন বেহেশ্ত্ পথ দেখালে
আখেরেরই সহায় দিলে আখেরি হজরত।
তুমি আজান দিলে না ভুলিতে মসজিদেরই পথ॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৭) মাসে টুইন রেকর্ড কোম্পানি গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ১ মাস।
- রেকর্ড: টুইন। [জুন ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৭)। নম্বর এফটি ১৩৩৩৩। শিল্পী: আব্বাসউদ্দীন আহমদ। সুর: নজরুল ইসলাম।][শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: নীলিমা দাস। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, ঊনত্রিশতম খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। শ্রাবণ ১৪১৩/আগষ্ট ২০০৬] ১২ সংখ্যক গান। আব্বাসউদ্দীন আহমদ-এর রেকর্ডে গাওয়া গান অনুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। [নমুনা]
- সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (ইসলামী গান)
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল: কাহারবা
- গ্রহস্বর: না