তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা, তোমারি জয় (tumi diyechho dukkho-shok-bedona, tomari joy)

তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা, তোমারি জয় তোমারি জয়।
ভালোবাস যারে কাঁদাও তাহারে ছলানাময়।
                    তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়॥
তুমি কাঁদায়েছ বসুদেব দেবকীরে,
নন্দ যশোদা ব্রজের গোপীরে,
কাঁদাইলে তুমি শত শ্রীমতীরে হে নিরদয়।
            তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়॥
তোমারে চাহিয়া কোটি নয়নে বিরহ অশ্রু ঝুরে,
ধরণী যে আজ ডুবু ডুবু শ্যাম সাগর সলিলে পুরে।
ভক্তে কাঁদাতে হে ব্যথা বিলাসী,
যুগে যুগে আসি’ বাজাইলে বাঁশি
তবুও এ-প্রাণ তোমারি পিয়াসি মানে না ভয়।
            তোমারি জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়।

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪২) মাসে, এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ১ মাস।
     
  • রেকর্ড:
    • এইচএমভি [জুলাই ১৯৩৫ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪২)। এন ৭৩৮৯। শিল্পী: ধীরেন দাস] [শ্রবণ নমুনা]
    • ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর (শনিবার ৫ পৌষ ১৩৪২) তারিখের নজরুলের সাথে এইচএমভির চুক্তিপত্রে গানটির উল্লেখ ছিল। [শ্রবণ নমুনা]
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: সালাউদ্দিন আহ্‌মেদ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, পঁচিশতম খণ্ড,  নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা। ভাদ্র, ১৪১২/আগস্ট ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ] ১৪ সংখ্যক গান।[নমুনা]
     
  • পর্যায়:
    • বিষয়াঙ্গ: ভক্তি (হিন্দুধর্ম, বৈষ্ণব)
    • সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের গান
    • তাল: তালবিহীন
    • গ্রহস্বর: সা

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।