তোমায় আমায় মিল খেয়েছে ও প্রেয়সী রাজ-যোটক (tomay amay mil khayechhe o preyoshi raj-jotok)
তোমায় আমায় মিল খেয়েছে ও প্রেয়সী রাজ-যোটক।
আমি যেন গোদা চরণ তুমি তাহে বিষ্ফোটক॥
আমি-কুম্ড়ো তুমি দা, আমি কাঁচকলা তুমি আদা,
তুমি তেজী, (আর) আমি ম্যাদা,
আমি সাপ, তুমি বেজি যেন, বাপ! তুমি হস্তিনী আমি ঘোটক॥
তুমি বঁটী আমি চিচিঙ্গে, আমি চিল, পিছে তুমি ফিঙে
আমি টিঙ্ টিঙে, (আর) তুমি ডিঙ্ ডিঙে
প্রিয়ে আমি ভেতো বাঙালিটি, তুমি যেন বর্গী-ঠগ্॥
আমি দাড়ি তুমি ক্ষুর, তুমি সাপ আমি ল্যাজুড়,
তুমি মাফ, আমি কসুর
আমি ভাঙা ভোঙা কলার ভেলা তুমি খিদিরপুরের ডক্॥
তুমি বঁড়্ শি আমি মাছ ; আমি মোম্ তুমি আগুন-আঁচ,
তুমি আমার হাতের পাঁচ
তুমি আর জনমে স্বামী হয়ো আমায় দিও পদোদক॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় (জুলাই ১৯৩২) মাসে প্রকাশিত 'সুর-সাকী' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
- সুর-সাকী
- প্রথম সংস্করণ [আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। জুলাই ১৯৩২)]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। সুর-সাকী। ৯০ সংখ্যক গান। খাম্বাজ-লোফা। পৃষ্ঠা ২৭৯-২৮০]
- সুর-সাকী
- রেকর্ড: টুইন। জানুয়ারি ১৯৩৩ (পৌষ-মাঘ ১৩৩৯)]। এফটি ২৩৬১। শিল্পী: হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
- স্বরলিপিকার:
- সেলিনা হোসেন। [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, একান্নতম খণ্ড, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট, আষাঢ় ১৪২৭। জুন ২০২১। রেকর্ডে হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। গান সংখ্যা ১৪। পৃষ্ঠা: ৬৬-৬৯। [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: কৌতুক গান
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুর
- তাল: দাদরা [দ্রুত]
- গ্রহস্বর: প