এসো মা ভারত-জননী আবার জগৎ-তারিণী সাজে (esho maa bharot-jononi abar)
এসো মা ভারত-জননী আবার জগৎ-তারিণী সাজে।
রাজরানী মা’র ভিখারিনী বেশ দেখে প্রাণে বড় বাজে॥
শিশু-জগতেরে মায়ের মতন,
তুমি মা প্রথম করিলে পালন,
আজ মাগো তোরই সন্তানগণ কাঁদিছে দৈন্য-লাজে॥
আঁধার বিশ্বে তুমি কল্যাণী
জ্বালিলে প্রথম জ্ঞান-দীপ আনি;
হইলে বিশ্ব-নন্দিতা রানী নিখিল নর-সমাজে॥
দেখা মা পুন সে অতীত মহিমা,
মুছে দে ভীরুতা গ্লানির কালিমা,
রাঙায়ে আবার দশদিক-সীমা দাঁড়া মা বিশ্ব-মাঝে॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৩৩৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে (জুলাই ১৯৩২) প্রকাশিত 'সুর-সাকী' গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৩ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
- সুর-সাকী।
- প্রথম সংস্করণ [আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। জুলাই ১৯৩২] [সুর-সাকী ৫১]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। সুর-সাকী। ৫১। জৌনপুরী-দাদরা। পৃষ্ঠা: ২৫১-২৫২]
- সুর-সাকী।
- রেকর্ড: এইচএমভি। অক্টোবর ১৯৩২ (আশ্বিন-কার্তিক ১৩৩৯)। পি ১১৭৫৫। কে মল্লিক [শ্রবণ নমুনা]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: ইদ্রিস আলী [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, দ্বাবিংশ খণ্ড, নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা ভাদ্র, ১৪০৭/ সেপ্টেম্বর, ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ] পঞ্চম গান।[নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ভক্তি [হিন্দুধর্ম, শাক্ত, আগমনী]
- সুরাঙ্গ: স্বকীয়
- তাল: দ্রুত একতাল
- গ্রহস্বর: পদা