ধ্বংস কর এই কচুরী-পানা! (dhwonsho koro ei kochuri-pana!)

ধ্বংস কর এই কচুরী-পানা!
(এরা) লতা নয় পরদেশী অসুর ছানা॥ (ধূয়া)
ইহাদের সবংশে কর কর নাশ,
এদেরে দগ্ধ ক'রে কর ছাই পাঁশ,
(এরা) জীবনের দুশমান, গলার ফাঁস,
(এরা) দৈত্যের দাঁত, রাক্ষসের ডানা -
(এরা) ম্যালেরিয়া আনে, জানে অভাব নরক
(এরা) অমঙ্গলের দূত, ভীষণ মড়ক॥
(এরা) এক একে গ্রাস করে নদী ও নালা
(যত) বিল ঝিল মাঠ ঘাট ডোবা ও খানা
ধ্বংস কর এই কচুরী-পানা॥ (ধূয়া)
(এরা) বাংলার অভিশাপ, বিষ, এরা পাপ
(এসো) সমূলে কচুরী-পানা ক'রে ফেলি সাফ্‌,
(এরা) শ্যামল বাঙলাদেশ করিল শ্মশান,
(এরা) শয়তানী ধূর্ত দুর্ভিক্ষ-আনা।
ধ্বংস কর এই কচুরী-পানা॥ (ধূয়া)
(কাল) সাপের ফণা এর পাতায় পাতায়
(এরা) রক্তবীজের ঝাড়, মরিতে চায় না,
(ভাই) এরা না মরিলে মোরা মরিব সবাই
(এরে) নির্মূল ক'রে ফেল শুন না মানা
ধ্বংস কর এই কচুরী-পানা॥ (ধূয়া)

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর ১৯৩৯ (শনিবার, ১৪ পৌষ ১৩৪৬) কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে পল্লীমঙ্গলের আসর গীতিআলেখ্য প্রচারিত হয়। এই গীতি-আলেখ্যের সাথে এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ৭ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • শেষ সওগাত
      • প্রথম সংস্করণ [২৫শে বৈশাখ ১৩৬৫ (বৃহস্পতিবার, ৪ মে ১৯৫৮)। শিরোনাম: কচুরিপানা। গান]
      • নজরুল রচনাবলী ষষ্ঠ খণ্ড [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন ২০১২। শেষ সওগাত। শিরোনাম: কচুরিপানা। গান। পৃষ্ঠা ১১৪]
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ২৩২৮। পৃষ্ঠা: ৭০৫]
  • পত্রিকা: দৈনিক নবযুগ [২৪ ডিসেম্বর ১৯৪১ (৯ পৌষ ১৩৪৮)। পৃষ্ঠা ৪]
  • বেতার: কচুরিপানা। ৩০শে ডিসেম্বর ১৯৩৯ [শনিবার, ১৪ পৌষ ১৩৪৬]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।