নওল শ্যাম তনু গোরীর পরশে (nowol shyam tonu gorir poroshe)

নওল শ্যাম তনু গোরীর পরশে গো গলে পড়ে নবনীর প্রায়।
কোমল শিরীয় ফুল ঝরিয়া পড়ে যেন মৃদুল আলতো হাওয়ায়॥
দুহু তনু থর থর গরগর গরবে প্রেম’রস আলসে,
মাধবী শ্রী যেন লতা হয়ে জড়াল মাধবে লালসে।
(রাই শ্যাম জড়াল; পাষাণ শিলার বুকে বিগলিত হয়ে যেন চন্দন, গড়াল,)
কোলের হরিণ ফেলে আকাশের চাঁদ নীল উৎপল নিল কোলে
হরিদ্রা রঙে হরি অঙ্গ আর্দ্র্য হয়ে পীত বসন রূপে দোলে,
(দোলে দোলে গো – প্রীতির রঙে পীত বসন হ’য়ে হরি দোলে দোলে গো।)
আঁধারের কোলে হেন রসের প্রদীপ
কালো কদম গাছে যেন ফুটিয়াছে নীপ
রতন দেউল যেন নীলার বিগ্রহ – রাই হৃদে কৃষ্ণ কিশোর
কৃষ্ণ ফাঁদ যেন ধরেছে সোনার চাঁদে চোর আজি ধরিয়াছে চোর।

(চোরে চোর ধরেছে গো – ননী-চোর আজি বাঁশি চোর ধরেছে গো
বসন-চোরা আজি নূপুর চোর ধরেছে গো)
পীত ধড়া বিগলিত নীল সাড়ি বিজড়িত সিন্দুরে চন্দনে মাখামাখি গো
কে যে শ্যাম কে যে রাই চেনার উপায় নাই,
(শ্রী) চরণ দেখিয়া শুধু চেনে এ আঁখি গো।

  • রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি (রবিবার ২৮ পৌষ ১৩৪৭) কলকাতা বেতার থেকে 'কলহ' নামক পালা-কীর্তন প্রচারিত হয়েছিল। এই পালা-কীর্তনে এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ৭ মাস।
     
  • গ্রন্থ:
    • নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, (নজরুল ইনস্টিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২০১২) -এর ১৩২২ সংখ্যক গান। তাল: ছোট দাসপেড়ে। পৃষ্ঠা: ৪০০-৪০১।
  • বেতার: কলহ। পালা-কীর্তন । কলকাতা-ক। তৃতীয় অধিবেশন। সময়: ৭.৪০-৮.৩৯  [১২ জানুয়ারি ১৯৪১ (রবিবার ২৮ পৌষ ১৩৪৭)।
    • সূত্র:
      • বেতার জগৎ।১২শ বর্ষ ১ম সংখ্যা। ১লা জানুয়ারি ১৯৪১, (বুধবার, ১৭ পৌষ ১৩৪৭)] পৃষ্ঠা: ৪৮
      • The Indian-listener [1940, Vol VI, No 1. page 79
  • রেকর্ড: হিন্দুস্তান [মে ১৯৪১ (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৮)। এইচ ৯০১ । শিল্পী: সুপ্রভা ঘোষ।]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।