ওড়াও ওড়াও লাল নিশান। (orao orao lal nishan)
'রক্ত-পতাকার গান'
ওড়াও ওড়াও লাল নিশান।
দুলাও মোদের রক্ত-পতাকা ভরিয়া বাতাস, জুড়ি' বিমান॥
শীতল শ্বাসেরে বিদ্রুপ করি’ ফোটে কুসুম
নব-বসন্ত-সূয উঠিছে টুটিয়া ঘুম,
অতীতের ঐ দশ-সহস্র বছরের হান মৃত্যু-বাণ॥
চির-বসন্ত যৌবন করে ধরা শাসন
নহে পুরাতন দাসত্বের ঐ বদ্ধ মন,
ওড়াও তবে রে লাল নিশান
ভরিয়া বাতাস, জুড়ি’ বিমান।
বসন্তের এই জ্যোতির পতাকা ওড়াও ঊর্ধ্বে,
গাহ রে গান! লাল নিশান! লাল নিশান॥
- রচনাকাল ও স্থান: ফণি মনসা কাব্যে অন্তর্ভুক্ত এই গানের সাথে রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে 'কলিকাতা। ১লা বৈশাখ ১৩৩৪'। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২৭ বৎসর ১১ মাস।
এটি একটি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের আদর্শে শ্রমজীবি মানুষের আত্মোৎসর্গের জন্য উদ্দীপনামূলক আন্তর্জাতিক গান। ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে আইরিশ গীতিকার জিম কোনেল গানটি রচনা করেছিলেন। গানটিতে ছিল ছয়টি স্তবক। তবে এর প্রথম স্তবকটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। বর্তমানে ব্রিটিশ লেবার পার্টি, আইরিশ জাতীয় সোসাল ডেমোক্রেটিক এন্ড লেবার পার্টি এবং আইরিশ লেবার পার্টির দলীয় সঙ্গীত। পরবর্তী সময়ে এই গানটির অনুবাদ জাপানি কমুনিষ্ট পার্টি এবং কোরিয়ান পিউপল পার্টির গান হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল।
১৩৩৪ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ, নজরুল ইসলাম এই প্রথম স্তবকটির ভাবানুবাদ করেছিলেন। জিম কোনেলর রচিত গানটির প্রথম স্তবকটি হলৌ-The people's flag is deepest red,
It shrouded oft our martyred dead
And ere their limbs grew stiff and cold,
Their hearts' blood dyed its every fold.
So raise the scarlet standard high,
Beneath its shade we'll live and die,
Though cowards flinch and traitors sneer,
We'll keep the red flag flying here. - পত্রিকা: গণবাণী। বৈশাখ ১৩৩৪(এপ্রিল-মে ১৯২৭)
- গ্রন্থ: ফণী মনসা। জুলাই ১৯২৭, শ্রাবণ ১৩৩৪। শিরোনাম: রক্ত-পতাকার গান