মণি-মঞ্জির বাজে অরুণিত চরণে সখি (moni monjir baje orunito)

মণি-মঞ্জির বাজে অরুণিত চরণে সখি
রুনু ঝুনু রুনু ঝুনু মণি-মঞ্জির বাজে।
হের গুঞ্জা-মালা গলে বনমালী চলিছে কুঞ্জ মাঝে॥
চলে নওল কিশোর,
হেলে দুলে চলে নওল কিশোর।
হেরি সে লাবনি কৌস্তুভমণি নিষ্প্রভ হ’ল লাজে॥
চরণ-নখরে শ্যামের আমার চাঁদের মালা বিরাজে॥ সখি গো —
বঁধূর চলার পথে পরান পাতিয়া র’ব চলিতে দলিয়া যাবে শ্যাম;
আমি হইয়া পথের ধূলি বক্ষে লইব তুলি’ চরণ-চিহ্ন অভিরাম।
ভুলে যা তোরা রাধারে কৃষ্ণ-নিশির আঁধারে
হারায়ে সে গেছে চিরতরে,
কালো যমুনার জলে ডুবেছে সে অতল তলে
ভেসে গেছে সে শ্যাম-সাগরে॥
ঐ বাঁশি বাজিছে শোন রাধা ব’লে,
তরুণ তমাল চলে, অঙ্গ-ভঙ্গে শিখি-পাখা টলে।
তা’র হাসিতে বিজলি, কাজল-মেঘে যেন উঠিছে উছলি’।
রূপ দেখে যা দেখে যা,
কোটি চাঁদের জোছনা-চন্দন মেখে যা, মোর শ্যামলে দেখে যা॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।  ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪০) মাসে মেগাফোন কোম্পানি থেকে এই গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৭-৮ মাস।
     
  • রেকর্ড: মেগাফোন। ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ (মাঘ-ফাল্গুন ১৩৪০)। নম্বর জেএনজি ৯৮। শিল্পী: আভা সরকার। [শ্রবণ নমুনা]
     
  • গ্রন্থ: গীতি-শতদল  প্রথম সংস্করণ [বৈশাখ ১৩৪১। এপ্রিল ১৯৩৪। বেহাগ মিশ্র-কার্ফা]। [গীতি-শতদল-৭২]
     
  • বেতার: রূপানুরাগ। পালা-কীর্তন। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি (১০ ফাল্গুন ১৩৪৭), কলকাতা-ক এর তৃতীয় অধিবেশনে রাত ৮ টা থেকে ৮.৩৯টা পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছিল।
    • সূত্র: বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ ৪র্থ সংখ্যার [পৃষ্ঠা ১৭২, ২১০]
       
  • স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: সুধীন দাশ [নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, আটাশতম খণ্ড,  নজরুল ইন্সটিটিউট, ঢাকা।  আষাঢ়, ১৪১৩/জুলাই ২০০৬] ২২ সংখ্যক গান। [নমুনা]
     
  • পর্যায়:

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।