সখি তখন আমার বালিকা বয়স বেণু শুনেছিনু যবে (sokhi tokhon amar balika boyosh)

সখি তখন আমার বালিকা বয়স বেণু শুনেছিনু যবে।
আমি বুঝিনি সেদিন, ডাকে বাঁশুরিয়া আমারেই বেণু রবে,
                                        সখি, আমারেই বেনু রবে॥
তার বাঁশরির সুরে মাঝে মাঝে সখি শিহরিয়া উঠিতাম গো —
মনে হ'ত ঐ সুরের আড়ালে আছে যেন মোর নাম গো।
ডাকিত — 'রাধা জাগো, জাগো প্রিয়া'
হের গো যমুনা তোমার বিরহে উঠিয়াছে উথলিয়া॥
শিহরিত কলেবর, জাগিত ভীতি গো,
ওকি পূর্বানুরাগ, ও কি প্রথম প্রীতি গো। সখি গো —
সখি, হেরিণু স্বপনে নব জলধর রসে-ঢলঢল কালা
মোর বুকে এসে কাঁদে, বলে লহ, রাধে, কণ্ঠের বনমালা
তার শিরে শিখি-পাখা, চাঁচর চিকুর দোলে কপোলের কাছে লো
দোলে দোলে দোলে দোলে গো -
সে বাঁশি রেখে পায় মুখপানে চায়, কি যেন ভিক্ষা যাচে॥
আমি দিতে যে নারি লো, যাহা চায় তাহা আমি দিতে যে নারি লো;
ও বোঝে না কুলবতীর কুলের বাধা,
দিতে যে নারি লো, দিতে যে নারি লো॥

  • রচনাকাল ও স্থান:  গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি (১০ ফাল্গুন ১৩৪৭), কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত 'রূপানুরাগ' নামক কীর্তন-পালা'য় এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ৯ মাস।
     
  • বেতার: রূপানুরাগ। পালা-কীর্তন। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি (১০ ফাল্গুন ১৩৪৭), কলকাতা-ক এর তৃতীয় অধিবেশনে রাত ৮ টা থেকে ৮.৩৯টা পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছিল।
    • সূত্র: বেতার জগৎ। ১২শ বর্ষ ৪র্থ সংখ্যার [পৃষ্ঠা ১৭২, ২১০]
       
  • রেকর্ড। এইচএমভি [এপ্রিল ১৯৪২ (চৈত্র ১৩৪৮-বৈশাখ ১৩৪৯)। এন ২৭২৬৩। শিল্পী: ইলা ঘোষ। সুর: নজরুল ইসলাম]

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।